বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ০৭:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তের বাঁধনে লেখা থাকবে’

রেলভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর। ছবি : কালবেলা
রেলভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর। ছবি : কালবেলা

রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, বাংলাদেশ-ভারতের সে সম্পর্ক রক্তের বাঁধনে লেখা থাকবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সহযেগিতায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, তিস্তা ব্রিজ ও ভৈরব ব্রিজের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।

রোববার (২৩ জুলাই) রেলভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ভারতের কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ট্র্যাক, দ্বিগুন করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, আজকের এই চুক্তির মাধ্যমে ডউ-২ ডিজাইন, সরবরাহ, ইনস্টলেশন এবং ৭টি স্টেশনে কম্পিউটার ভিত্তিক ইন্টারলক সিগন্যালিং সিস্টেমের পরিক্ষা-কমিশন করা হবে। যার মধ্যে নির্বাচিত লেভেল ক্রসিংগুলির ইন্টারলকিং এবং অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক টেলিকমিউনিক সিস্টেমের কাজ এবং আন্তঃসংযোগ ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের জন্য সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

’৭৫ সালের পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা কোনো উন্নয়ন করেনি মন্তব্য করে সুজন বলেন, এমনকি প্রতিবেশীদেশ হিসেবে ভারতের সাথে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করেছিল। সম্পর্কের উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। ছিটমহল সমস্যা, গঙ্গা চুক্তি, পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। রেলওয়ে ব্যবস্থায় আমাদের ইন্টারসেকশন পয়েন্ট যেগুলো ছিল তার ৮টির মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়াও ভারতের সঙ্গে আমাদের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডাবললাইনে রূপান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা-চট্রগ্রাম ডাবললাইন করার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আখাউড়া থেকে আগড়তলা, খুলনা থেকে মঙ্গলা, ঢাকা থেকে পদ্মা ব্রিজ হয়ে ভাঙ্গা এবং ঢাকা থেকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী অচিরেই উদ্বোধন করবেন বলে জানান।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে নাজনীন আরা কেয়া (প্রকল্প পরিচালক) এবং কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড পক্ষে সুভারজিত ঝানা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াসীন, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

১০

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১১

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১২

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১৩

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৪

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৫

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৬

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৭

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

১৮

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

১৯

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

২০
X