হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কলকাতার বিরিয়ানি, সুগন্ধি বাসমতি চালের ভাত এবং কলকাতার স্টাইলে রান্না করা ও স্বাদযুক্ত শাকসবজি এবং অন্যান্য স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরের ভোজসভায় এসব আয়োজন করা হয়।
অন্যান্য খাবারের মধ্যে ছিল- ভারতের স্ট্রিট ফুড হিসেবে বহুল পরিচিত দই ফুচকা, স্টু বা সুরুয়া, পার্ল মিলেট (মুক্তা বাজরা) আর মটরশুটি দিয়ে তৈরি ওই স্টু’র নাম ‘মটর অর বাজরে কা শোর্বা’। মাছের পাতুরি বাঙালির অতি প্রিয় পদ।
তবে নিরামিশাষী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার জন্য পরিবেশন করেন ছানার পাতুরি। ওই পাতুরিতে ছানার সঙ্গে নারকেল, কাঁচা আম, মরিচ আর সর্ষে বাটা মেশানো ছিল।
এরপর পরিবেশন করা হয় সিঙাড়া। সিঙাড়ার পুর হিসেবে ছিল আলু, ফেটা চিজ, ফুলকপি, বাদাম ও থাইম।
শেখ হাসিনাসহ অতিথিদের পাতে এরপর দেওয়া হয় ‘আমারান্থ কোফতা গুলবদন’ অর্থাৎ কোফতার কারিতে সেদ্ধ করা আমারান্থ বাজরার ডাম্পলিং। তারপর পাতে আসে গুজরাতি পদ ‘পঞ্চমেল নি সবজি’ অর্থাৎ, জিরা, পেঁয়াজ আর টমোটা দিয়ে রান্না পাঁচমিশালি সবজি।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দই পনির দেওয়া হয়। এ পদটি বিভিন্ন মশলায় মাখানো পনিরের স্টেক, যা টক দই এবং নানা ভারতীয় মসলায় রান্না করা। আরও ছিল- শুক্তো ও মসুর ডাল।
এছাড়া ছিল- স্পেশাল ভারতীয় রুটি, গুড়ের জিলাপি, পান রসমালাই কুলিও আমের কুলফি, মাসালা কফি এবং বিভিন্ন ফলমূল।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে পৌঁছেন।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
এছাড়াও, এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন।
মন্তব্য করুন