মো. খায়রুল হাসান
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ০৩:২৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে মার্জারই কি একমাত্র বিকল্প?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে এখনো তীব্র তারল্য সংকট। গ্রাহকদের লাগাতার চাপ ও খেলাপি ঋণের ভারে ন্যুজ এসব ব্যাংক। গ্রাহকদের চাহিদামতো টাকা দিতে পারছে না তারা। এতে দিন দিন গ্রাহকের আস্থা হারাচ্ছে ব্যাংকগুলো। যদিও ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে এবং লেনদেন স্বাভাবিক হওয়ার পথে।

কিন্তু ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র ভিন্ন। অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো। তাদের অবস্থা উপরে উপরে ভালো দেখানো হচ্ছে। আদতে অবস্থা অনেক খারাপ। গত কোরবানির ঈদের আগে এসব দুর্বল ব্যাংকের অনেক গ্রাহক তাদের চাহিদামতো টাকা তুলতে না পেরে এ বছর কোরবানির পশু কিনতে পারেনি মর্মে অভিযোগও রয়েছে। এসব ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের টাকা ফেরতের বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও সময়মতো টাকা না পেয়ে ব্যাংকগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহকরা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পক্ষ থেকে দুর্বল পাঁচটি ব্যাংক মার্জারের ঘোষণা দেওয়ার পর এসব ব্যাংকে অস্থিরতা আরও বেড়েছে। যদিও গভর্নরের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে- মার্জারের কারণে কোনো আমানতকারিই ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। বরং গ্রাহকদের আমানতের নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব ব্যাংক মার্জারের সিদ্ধান্ত। এ সত্ত্বেও গ্রাহকগণ তাদের আমানত তুলে নিতে প্রতিদিনই ভিড় করছে ব্যাংকগুলোতে।

আবার মার্জারের কারণে এসব ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের মধ্যে চাকরি হারানোর ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। যদিও গভর্নরের পক্ষ থেকে ব্যাংকারদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে মার্জারজনিত কারণে কাউকে চাকরি হারাতে হবে না। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর পরিণতি কোন দিকে যাচ্ছে। অবধারিত মার্জার? না-কি অন্য কিছু?

ব্যাংকগুলোর কেন এই রুগ্ন দশা?

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রায় দেড় দশক ধরে দেশের আর্থিক খাতে চলে লাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতি, লুটপাট এবং অবাধে বিদেশে অর্থপাচার। এসবের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় ব্যাংক খাত। বিশেষ করে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট চালানো হয়। সরকারের প্রকাশ্য মদদে আওয়ামী লুটেরা এবং তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ভুয়া ঋণ বা বিনিয়োগের নামে কয়েক লাখ কোটি টাকা তুলে নেয় এসব ব্যাংক থেকে। আওয়ামী সরকারের সময়ে এসব ঋণ বা বিনিয়োগ বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়মিত দেখানো হয়েছে। ফলে তখন কৃত্রিমভাবে খেলাপী ঋণ কম দেখানো হয়েছে। এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যাংকগুলোর প্রকৃত চিত্র উন্মোচিত হতে থাকে। যথা নিয়মে শ্রেণিকৃত ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলোর কোনো কোনোটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯০ শতাংশের বেশি। গড়ে এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার প্রায় ৮০ শতাংশ।

তথ্যমতে, দেশের ব্যাংকখাতের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি যা প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শীর্ষ ঋণ খেলাপিদের অধিকাংশই পতিত ফ্যাসিস সরকারের ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গ অথবা তাদের সহযোগী ব্যবসায়ি মাফিয়া গোষ্ঠী। তাদের অধিকাংশই এখন দেশ থেকে পলাতক। অনেক ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সব কিছু পাচার করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। ফলে খেলাপি ঋণ উদ্ধারের সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ।

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো বিদেশ থেকে টাকা ফিরিয়ে আনা এত সহজ কাজ নয়। বিষয়টি অনেক জটিল ও সময় সাপেক্ষ। এদিকে ব্যাংকগুলো তাদের ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে বারবার টাকা ধার করেও আমানতকারীদের চাহিদামতো টাকা ফেরত দিতে পারছে না এসব ব্যাংক।

অন্যদিকে ফান্ডের অভাবে নতুন করে ঋণ বা বিনিয়োগ দিতে না পারায় এসব ব্যাংকের আয়ের পথও প্রায় বন্ধ। লোকসান গুণতে হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। সব মিলিয়ে দুর্বল ব্যাংকগুলোর অবস্থা ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে আরও জটিলতর হচ্ছে।

দুর্বল ব্যাংকগুলো বাঁচাতে সরকারের উদ্যোগ

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে সরকার ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলোর শেয়ার অধিগ্রহণের মাধ্যমে মালিকানা নিতে পারবে। একইসঙ্গে এসব ব্যাংকের সম্পদ এবং দায় তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর ও বিক্রি করতে পারবে। এর ফলে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন, একীভূতকরণ, বিক্রি কিংবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই আইনে কোনো ব্যাংক যখন ন্যূনতম মূলধন বা তারল্য সংরক্ষণের শর্ত পালন করতে অক্ষম হবে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সে ব্যাংককে অবসায়ন কিংবা নিষ্পত্তি করতে পারবে। এসব ব্যাংকের ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আর্থিক দাতা প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন- আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও আইডিবি থেকে অর্থায়ন বা ঋণ নিতে পারবে। এই তহবিলের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকের পুনর্গঠন বা নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোর সম্পদ গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য দুটি আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম নিয়োগ করেছিল যা ইতোমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর আগে জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে এবং আগের এমডিদের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

এই আইনের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি উন্নয়নে শক্তিশালী পদক্ষেপ এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক খাতে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এই আইনে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তার জন্য ব্যাংক রেজ্যুলেশন তহবিল গঠন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তহবিলটি সরকারের ঋণ বা অনুদান এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বা অনুদান থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং ব্যাংক খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত করা হবে।

দুর্বল ব্যাংকগুলো মার্জার কেন অবধারিত?

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সমস্যাগ্রস্থ পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক মিলে একটি বড় ও শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংক গঠন করতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে এসব ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই (অ্যাসেট কোয়ালিটি রিভিউ) সম্পন্ন হয়েছে।

এই পাঁচটি ব্যাংকের মোট খেলাপি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিনিয়োগের ৭৭ শতাংশ। বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। এই পাহাড় সমান খেলাপি বিনিয়োগ এবং প্রভিশন ঘাটতি নিয়ে কোনো ব্যাংকের টিকে থাকা একেবারেই অসম্ভব।

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ খেলাপি ঋণ গ্রহণযোগ্য এবং কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩০ শতাংশের উপর হলে সেই ব্যাংক বাধ্যতামূলকভাবে অবসায়ন করতে হয়। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে অসংখ্য ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রায় ৮০ শতাংশ খেলাপি ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলোকে এখনো টিকিয়ে রাখা হয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং জনগণের স্বার্থে সরকার দুর্বল ব্যাংকগুলোকে মার্জারের মাধ্যমে একত্র করে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় একটি শক্তিশালী ও বড় ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হবে, যা দেশের মানুষের ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চাহিদা পূরণে আরও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে পারবে। দেশের ইসলামী ব্যাংকিং খাত সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হবে।

ব্যাংক মার্জারের ফলে কী কী সম্ভাবনা তৈরি হবে?

সমস্যাগ্রস্থ দুর্বল ব্যাংকগুলো সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণের ফলে নতুন এই ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপন হবে। নতুন লাইসেন্স ও নতুন নামকরণের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ইসলামী ব্যাংকের ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি হবে, যা অন্যান্য ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগী হিসেবে বাজারে আবির্ভূত হবে।

সরকারের সরাসরি তদারকি, তত্ত্বাবধান এবং অভিজ্ঞ ও দায়িত্বশীল পরিচালনা পর্ষদ গঠন এবং একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা টিম গঠনের ফলে এই ব্যাংকে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। সরাসরি সরকারের তহবিল সহায়তার ফলে দুর্বল ব্যাংকগুলোর মূলধন ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ব্যাংকগুলোর মন্দ সম্পদ ও দায় তৃতীয় পক্ষ অ্যাসেট ম্যাজেমেন্ট কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হবে। ফলে মন্দ ঋণ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা করতে হবে না। তারা কেবল উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করতে পারবে। একইসঙ্গে দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং দায়িত্বশীল শরীয়াহ বোর্ড গঠনের ফলে নতুন এই ইসলামী ব্যাংকে শরীয়াহ সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

পাঁচটি ব্যাংক মিলে একটি বৃহৎ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ও ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল স্থাপিত হবে, ফলে একসঙ্গে বহু গ্রাহককে সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারবে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এই ব্যাংকগুলোর দেশব্যাপী ৭৫৯টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা ৫০৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং কেন্দ্র, ১০২৩টি এটিএম ও সিআরএম রয়েছে। দেশের ২৯৮টি থানায় ব্যাংকগুলোর কোনো শাখা বা উপশাখা নেই। ফলে এসব এলাকায় শাখা ও উপশাখা পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশের আলোকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও সম্পদের সুষম বন্টনের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এতে ব্যাংকটিতে কোনো কর্মী ছাটাইয়ের প্রয়োজন হবে না।

এ ছাড়া প্রায় ৯২ লাখ গ্রাহকের ইসলামী ব্যাংকিং সেবা সেবা দেওয়ার জন্য এ ব্যাংকগুলোর প্রায় ১৬ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে, যারা ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত। পাঁচটি ব্যাংক একত্র হওয়ার কারণে পরিচালনা খরচ অনেকাংশে কমে আসবে এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামোর উন্নতি ঘটবে।

নতুন এই ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করবে, ফলে সমাজে কর্মসংস্থান ও সুষম উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এই ব্যাংক একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে অন্যান্য বৃহৎ ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা তৈরি হবে। ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।

লেখক: সার্টিফায়েড শরীয়াহ অ্যাডভাইজর অ্যান্ড অডিটর এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন্স।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইসরায়েলে ২০ মিনিটে ৩০ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত

যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন ইরানের সুপ্রিম লিডার

বুধবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৮ জুন : আজকের নামাজের সময়সূচি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৭ জেলায় হতে পারে ঝড়

ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা

ইসরায়েলের আকাশসীমা ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ নেওয়ার দাবি ইরানের

আমরা কোনো দয়া দেখাব না : খামেনি

বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল তেহরান

৩ তরুণীসহ শ্রমিক লীগ নেতা মাসুদ আটক

১০

ইরানে ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিল রাশিয়া

১১

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে মার্জারই কি একমাত্র বিকল্প?

১২

টিকটকে পরিচয়, ইয়াসিনের বাড়িতে উঠলেন এক সন্তানের জননী

১৩

ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের ‘হামলা’

১৪

জুলাইয়ে ঘটতে পারে মহাবিপর্যয় : বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী

১৫

রাডার ফাঁকি দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান

১৬

‘বিএনপি চায় উৎসবমুখর নির্বাচনী পরিবেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক’

১৭

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বুধবার অংশ নেবে জামায়াত

১৮

ইসরায়েলের ২৮টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের

১৯

কথিত সেই যুবদল নেতা ফের চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক

২০
X