বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আজ বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে অবরোধ শুরু হয়ে আগামী শুক্রবার ভোর ৬টায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা উৎকণ্ঠায় পড়েছেন। ইতোমধ্যে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
দৈনিক কালবেলায় ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ‘একের পর এক স্থগিত হচ্ছে চাকরির পরীক্ষা’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
শাহরিয়ার তালুকদার সিয়াম লিখেছেন, ‘যে দেশে মানুষের জান মালের নিশ্চিয়তা নিয়ে বৈরী প্রভাব পড়েছে, যে দেশে অসুস্থ রাজনীতি সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করছে সেখানে চাকরির পরিক্ষা বাতিল হওয়াই স্বাভাবিক। হয়তো রাজস্ব খাতে ঘাটতি ছিল, আবেদনের টাকা দিয়ে পূরণ হয়ে গেছে এখন। তাই হয়তো পরীক্ষা নিচ্ছে না।’
নুর আহম্মদ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘দেশ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চাকরির পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে। চাকরির পরীক্ষা স্থগিত হবার কারণে বাড়ছে বেকারদের আরও দুশ্চিন্তা। বাংলাদেশে ৪৭% উচ্চ শিক্ষিত বেকার। বেকারত্বের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়াতে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। এই সংকট থেকে উত্তরণের অন্যতম পথ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য সমঝোতা। বর্তমান সরকারের উচিত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। দেশকে অনিশ্চিত গন্তব্যের হাত থেকে বাঁচাতে, বেকার যুব সমাজের মুখে হাসি ফোটাতে চাই রাজনৈতিক উদারতা। বর্তমান রাষ্ট্রপতির উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের আয়োজন করা। তিনি দেশের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করলে রাজনীতিতে স্বস্তি ফিরতে পারে।’
মাধবী লতা লিখেছেন, ‘রাজায় রাজায় লড়াই, উলুখাগড়ার প্রাণান্ত! সব দলই জনগণের সেবা করতে চায়, কিন্তু ক্ষমতা ধরে রাখতে বা ক্ষমতায় যেতে জনগণের উপর পা দিয়েই যেতে চায়! একেকটা চাকরির পরীক্ষা কত যুবকের মনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা, তা নেতা মহাশয়রা বুঝবে কীভাবে?’
মো. সুজন হাওলাদার লিখেছেন, ‘আমাদের দেশের এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে একের পর এক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে। নির্বাচনের পরে দেখা যাবে একই দিনে ১৫/২০টা পরীক্ষা হবে। কিন্তু চাকরিপ্রত্যাশীদের ১টা কিংবা ২টির বেশি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। অথচ এক একটা আবেদন করতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়।’
দেলোয়ার হোসাইন লিখেছেন, ‘সব পরীক্ষা নির্বাচনের পর নেওয়াটা সবচাইতে ভালো হবে, এখন পরীক্ষা নিলেও চূড়ান্ত রেজাল্ট দিতে পারবে না। এ ছাড়াও হরতাল অবরোধে ঢাকা যাওয়া আসা অনেক কষ্টকর।’
মাহমুদ নাইম লিখেছেন, ‘জবাবদিহিতার অভাব এবং সমসাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমার মনে হয় বিষয়টা স্থগিত করা হয়েছে।’
জহির আলি লিখেছেন, ‘এভাবেই রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে বয়স চলে যায় হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশীদের। যারা বেকার তারাই শুধু জানে কতটা কষ্টে তাদের জীবন কাটে।’
মীর কাসেম লিখেছেন, ‘স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে অনেক পরীক্ষার পর ছাত্রজীবন শেষ হয়। পরীক্ষা পাশের এত সনদ থাকার পরেও কেন আবার চাকরির পরীক্ষা দিতে হয়? এরপর আবার চাকরি নিশ্চিতের জন্য মামা, খালু, নেতা, দালাল ধরে লক্ষ লক্ষ টাকাকড়ি (ঘুষ) লাগে। এসব অনৈতিক কাজকারবার করতে খুব দুঃখ লাগে। অপমান লাগে। ছাত্রজীবনের যাবতীয় পরীক্ষা পাশের সনদ ও নম্বর পত্র দেখে মৌখিক, মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক পরীক্ষা নিলে হয় না?’
মন্তব্য করুন