স্থপতি খালিদ মাহমুদ
স্থপতি সৈয়দ আবু সালেক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ওয়াইজ ঘাটের ওয়াইজ সাহেব

ছবি : সৌজন্য
ছবি : সৌজন্য

পুরান ঢাকার যে সাথানগুলো ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে তার মধ্যে ওয়াইজঘাট একটি উল্লেখযোগ্য এলাকা। বর্তমান সদরঘাটের উত্তর-পশ্চিম দিকের এলাকাটা ওয়াইজঘাট নামে পরিচিত। কথিত আছে যে ওই এলাকার প্রভাবশালী বাসিন্দা তৎকালীন বৃহৎ নীল ব্যবসায়ী জেপি ওয়াইজের নামে ওই এলাকার নাম ওয়াইজঘাট হয়ে যায়। বাংলাপিডিয়ায় উল্লেখ আছে তৎকালীন সময়ে ঢাকায় তিনজন ওয়াইজ সাহেবের নাম খুব শোনা যেত। তিনজনই প্রভাবশালী এবং বিখ্যাত ছিলেন। এদের একজন নীলকর ওয়াইজ, একজন ঢাকা কলেজের প্রিন্সিপাল টি ওয়াইজ এবং একজন সিভিল সার্জন জেমস ওয়াইজ। বাংলাপিডিয়ায় তিনজন ওয়াইজ সাহেবকে আলাদা হিসেবে বলা হলেও আসলে তারা তিনজনই ছিলেন একই পরিবারের সন্তান। এবং মূলত তারা তিনজন নন, ছিলেন চারজন।

ওয়াইজ পরিবারের আদি বাসস্থান স্কটল্যান্ডের ড্যান্ডিতে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান থমাস ওয়াইজ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে জ্যামাইকার স্বাস্থ্যসেবী হিসেবে পরিচয় পাওয়া যায়। সে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল বেশ সম্পদশালী এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। তবে এ কারণে বেশ হাঙ্গামাও লেগে থাকত। এ পরিস্থিতিতে সম্ভবত থমাস ওয়াইজের পিতা স্কটল্যান্ডের ড্যান্ডিতে স্থানান্তরিত হন। ওয়াইজ পরিবারের পরবর্তী বংশধররা তাই স্কটিশ হিসেবেই পরিচিত হন।

সম্ভান্ত বংশের কন্যা মেরি ওয়াইজের গর্ভে ১৯০০ শতকের শুরুর দিকে ড্যন্ডিতে থমাস ওাইজের প্রথম সন্তান উইলিয়াম ওয়াইজের জন্ম। শিক্ষাজীবন শেষে উইলিয়াম ওয়াইজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ওয়াইজ পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ওয়াইজ বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। তবে ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ওয়াইজ দীর্ঘদিন অবস্থান করেননি। যতদূর জানা যায় ব্রিটিশ অধীনে কলোনিয়াল আমেরিকায় তিনি স্থানান্তরিত হন এবং সেখানেই দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন। ক্যাপ্টেন ওয়াইজ দেশে থাকা অবস্থায় তার দ্বিতীয় ভাই জেপি ওয়াইজকে নিয়ে আসেন এবং দুই ভাই নীল ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসা করতে গিয়েই দেশীয় ব্যবসায়ী কিশেন কুমার বোসের সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে পড়েন। ১৮৪৭ সালের নভেম্বরে ক্যাপ্টেন ওয়াইজ মারা যান। তার অবর্তমানে জেপি ওয়াইজের সঙ্গে মামলা চলতে থাকে।

ওয়াইজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান জেপি ওয়াইজের পুরো নাম জোসিয়া প্যাট্রিক ওয়াইজ। বড় ভাই ক্যাপ্টেন ওয়াইজের পথ ধরে ব্যবসার সন্ধানে বাংলাদেশে আগমন করেন। ক্যাপ্টেনের পৃষ্ঠপোষকতায় তার নীল ব্যবসায় বেশ সমৃদ্ধি আসে। ক্যাপ্টেন ওয়াইজ নিজের দেশে ফিরে গেলেও জেপি ওয়াইজ ততদিনে তার অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। উইলিয়াম হান্টিংটনের ভাষ্যমতে জেপি ওয়াইজ ছিলেন এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ নীলব্যবসায়ী। ব্যবসার সুবাদে স্থানীয় অনেক জমিদারের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। পাশাপাশি বিরোধও ছিল অনেকের সঙ্গে। তার নীল ব্যবসা যত বড় হয় ওয়াইজঘাটও তত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ঢাকা জেলা গেজেট অনুসারে, জেপি ওয়াইজ গছা জমিদার ভাওয়াল রাজপুত্র কালী নারায়ণ রায় চৌধুরীর জমিদারির একটা অংশ কিনে ভাওয়ালের সহঅংশীদার হয়েছিলেন। এভাবে নীলকর থেকে জমিদারে পরিণত হন। তবে অংশীদারদের মধ্যে খুব শিগগিরই ঝগড়া-বিবাদ ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়মিত দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে থাকে। বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের পরে নীলকর ওয়াইজ বুঝতে পারেন, এক জায়গায় দুই জমিদারের জায়গা নেই। শেষ পর্যন্ত জমিদারের অংশটি পুনরায় কালী নারায়ণকে ফেরত দিয়েছিলেন। আহসান মঞ্জিলের অনতিদূরে নিকোলাস পোগোসের মালিকানাধীন বিশাল বাগানবাড়িতে তার বাসা এবং অফিস ছিল। নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী দলও ছিল। দীর্ঘদিন বসবাস করার কারণে পোগোস হাউসকে লোকজন একসময় ওয়াইজ হাউস নামেই চিনতে শুরু করে। ওয়াইজ হাউসের বরাবর বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াইজ ঘাটের অবস্থান। শানবাধানো ঘাটে দিনরাত বড় বড় নৌকার আনাগোনা ছিল। ছিল মাঝি-মাল্লা, কুলি-মজুরদের হাঁক-ডাক। ইংরেজ সমর্থক সিভিল সোসাইটিতে জেপি ওয়াইজের বেশ সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

১৮৫৬ সালে ঢাকা নিউজ নামে একটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। জেপি ওয়াইজ ছিলেন এর অন্যতম পরিচালক। এই পত্রিকাটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য বেশ কাজে লাগে। ১৮৫৭ সালে যখন সিপাহি বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে তখন সিপাইদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে পত্রিকাটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এর আগে ১৮৪৬ সালে ঢাকা ব্যাংক প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েও জেপি ওয়াইজ উদ্যোক্তা হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ব্যবসায়ীক জীবনে জেপি ওয়াইজ প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক হন। জীবনের শেষ সময়ে নিজ দেশে পাড়ি জমান। স্কটল্যান্ডের ড্যান্ডিতে বিশাল বাগানবাড়ি কিনে সেখানে বসবাস করেন। তার মৃত্যুর পরে ভাতিজা ডেভিড থম্বসের মালিক হন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে যান। বর্তমান ফেডিঞ্চ ক্লাব এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সুপরিচিত টি এ ওয়াইজ ছিলেন থমাস ওয়াইজের ছোট সন্তান। তার পুরো নাম থমাস আলেক্সজান্ডার ওয়াইজ। তিনিও ১৮০২ সালের ১৩ জুন ড্যান্ডিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং ১৮২৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১৮২৭ সালে চিকিৎসক ও সার্জন হিসেবে ইন্ডিয়ান মেডিকেল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৮৩০-এর দশকে হুগলিতে সিভিল সার্জন, ১৮৪০-এর দশকে ডাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হুগলী মহসিন কলেজের তিনি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৮৫১ সালে ভারত থেকে অবসর নিয়ে স্কটল্যান্ডে ফিরে আসেন।

লন্ডনের একটি স্টুডিওতে তোলা টি এ ওয়াইজের পোট্রেট

থমাস আলেক্সজান্ডার ওয়াইজ ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি অনুরাগী ছিলেন। ভারতে থাকাকালীন ড. ওয়াইজ সংস্কৃত শিখতেন এবং কয়েকটি সংস্কৃত পুঁথি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। জীবাণু ও রোগতত্ত্ব নিয়েও তার প্রচুর গবেষণা ছিল। ১৮৪৫ সালে কমেন্টারি অন দ্য হিন্দু সিস্টেম অব মেডিসিন শিরোনামে স্থানীয় চিকিৎসাব্যবস্থা এবং রোগ ব্যাধি সম্পর্কে একটি বিবরণমূলক বই লেখেন- এখনো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তিনি ভারতে থাকাকালীন সময়ে তিব্বতের অনেক ধর্মীয় স্মারকবস্তুর পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের অনেক নৃতাত্বিক জিনিস সংগ্রহ করেছিলেন। তার সংগৃহীত প্রাচীন মুদ্রা ও আলমিরা ১৮৮১ সালে ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পায়। ১৯৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডান্ডি সিটি কাউন্সিলের কাছে এই স্মারক চিহ্নগুলো স্থানান্তর করা হয়। তার কিছু মিসরীয় এবং চীনা স্মারক জিনিস ছিল। ১৮৮৯ সালে লন্ডনের আপার নরউডে মৃত্যুর আগে তিব্বতের মানচিত্রের সংগ্রহটি তিনি ব্রিটিশ জাদুঘরে (বর্তমানে ব্রিটিশ গ্রন্থাগারে) দান করে যান। ১৮৮২ সালে ভারত থেকে নেওয়া দুটি স্মারক অস্ত্রও ব্রিটিশ মিউজিয়ামে জমা দেন।

টি এ ওয়াইজ ১৮৫১ সালে দেশে ফিরে যান। তবে দেশে ফিরে গেলেও সাহিত্য ও গবেষণার কাজে সক্রিয় ছিলেন। ১৮৫৪ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অব এডিনবার্গের ফেলো নির্বাচিত হন এবং এডিনবার্গেই বসবাস শুরু করেন। ডান্ডির কাছে ইনচেরাতেও তার সম্পত্তি ছিল তবে পরে লন্ডনে চলে যান। ২৩ জুলাই ১৮৮৯-এ লন্ডনের নরউডে মারা যান। তাকে পশ্চিম নরউড কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

টি এ ওয়াইজের সংগ্রহশালা থেকে উদ্দারকৃত প্রাচীন তিব্বতের নির্দেশমুলক মানচিত্র

১৮৫১ সালে থমাস আলেক্সজান্ডার যখন চাকরি থেকে অবসর নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যান তখন তার ছেলে জেমস ওয়াইজ চাকরি নিয়ে ভারতবর্ষে আগমন করেন। জেমস ওয়াইজের পুরো নাম জেমস ফন্স নরটন ওয়াইজ। ১৮৩৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা চাকরি সূত্রে ভারতবর্ষে অবস্থান করলে তিনি মায়ের কাছেই থাকেন। কিন্তু চার বছর বয়সে মাতা এমিলি ইসাবেলা ডিজনি মারা গেলে একসময় পিতার কাছে আগমন করেন। তবে পিতা দেশে ফিরে গেলেও তিনি থেকে যান। ১৮৬৮ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ঢাকার সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পুরাতন ঢাকার আর্মনিয়ান জমিদার নিকোলাস পোগোজের কাছ থেকে তিনি ভবন ক্রয় করে চাকরিকালীন সময়ে এখানেই বসবাস করেন। ওয়াইজের এ ভবন থেকেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমির যাত্রা শুরু।

১৮৮৬ সালে মারা যান জেমস ওয়াইজ। জেমস ওয়াইজ পেশাজীবনে চিকিৎসক হলেও ঐতিহাসিক ঢাকা বিষয়ে লেখালেখির জন্য তিনি বেশি পরিচিত। তার রচিত মূল্যবান গ্রন্থের নাম নোটস অন রেসেস, কাস্টস অ্যান্ড ট্রেডস অব ইস্টার্ন বেঙ্গল। লন্ডনে অবসর জীবনযাপন কালে পান্ডুলিপি রচনা করে তিনি তা মুদ্রণ করেন। ১৮৮৩ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত এ বইতে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জাতি, বর্ণ ও পেশার বিবরণ দেয়া আছে। বাংলার সামাজিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ রূপরেখা ফুটে উঠেছে যা বইটিকে ঐতিহাসিক গুরুত্ব দিয়েছে। ওয়াইজের রচনা সমসাময়িক তো বটেই, পরবর্তীকালেও অনেক নৃতাত্ত্বিক, সমাজবিজ্ঞানী বা ঐতিহাসিককে প্রভাবিত করেছে। ওয়াইজকে বাংলাদেশের নৃতত্ত্বচর্চার পথিকৃৎ বলা যেতে পারে। ব্যাকম্যানের কন্ট্রিবিউশনস টু দ্য জিওগ্রাফি অ্যান্ড হিস্ট্রি অব বেঙ্গলের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি শিলালিপির ছাপ পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া নোটস অন সোনারগাঁও এবং নোটস অন বারো ভূঁইয়াস নামে ডা. ওয়াইজের দুটি প্রবন্ধ জার্নাল অব দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল-এ ১৮৭৪ সালে ছাপা হয়।

ওয়াইজঘাট এবং ওয়াইজ হাউস উভয়েই বাংলাদেশের উপনিবেশিক ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের পুরাতন স্থাপনা হিসেবে ওয়াইজ হাউস তালিকাভুক্ত। এটি উপনিবেশিক স্থাপত্যের রীতি ও নকশার এবং আমাদের অতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সমন্বিত পরিচয়ের সাক্ষ্য বহন করে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণের তাগিদে বিল্ডিংটি পরিকল্পনা এবং শারীরিক আকারে পরিবর্তিত হওয়ার ফলস্বরূপ মূল ঘরটি বর্তমান কাঠামোটিতে উপলব্ধি করা কঠিন। ওয়াইজ হাউসের (তৎকালীন পোগোস হাউস) নির্মাতা নিকোলাস পোগোস হলেও এটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নীলকর ওয়াইজ এবং জেমস ওয়াইজের নাম।

জেমস ওয়াইজ ভবনটি কিনে নিয়ে ওয়াইজ হাউস নাম দেন। তবে জেপি ওয়াইজ তারও আগে এই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং এখানেই তার নীলকুঠি ছিল। আহসান মঞ্জিল যে সময়ে নির্মাণ সম্পন্ন হয় সে সময়েও ওয়াইজ হাউস নির্মাণাধীন ছিল। তৎকালীন বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) মহারাজা বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ নবাবকে একটি কাঠের কারুকাজসমৃদ্ধ সিঁড়ি উপহার দেন। ততদিনে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় নবাব এটা পাঠিয়ে দেন পোগোসকে। সিঁড়িটি এখনো ওয়াইজ হাউসে আছে। পাকিস্তান আমলে ভবনটি বরাদ্দ দেওয়া হয় বুলবুল ললিতকলা একাডেমির নামে। আজ অবধি এটা তাদের সংস্কৃতিক বিদ্যালয় হিসেবে আছে। সময়ের আবর্তনে ওয়াইজঘাটের চেহারা অনেক পাল্টে গেছে তবে স্মৃতি হয়ে আছে ওয়াইজ হাউস। সেই সঙ্গে ইতিহাস হয়ে আছে ওয়াইঘাটের প্রভাবশালী ওয়াইজ পরিবার। (ভাষা ও বাক্যরীতি লেখকের নিজস্ব)

খালিদ মাহমুদ : স্থপতি, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এম আর্ক অধ্যয়নরত সৈয়দ আবু সালেক : স্থপতি ও সহকারী অধ্যাপক, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি)

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাত-পায়ের ৫ লক্ষণে বুঝে নিন লিভারে সমস্যা ভুগছেন কি না

হাসি, বিনা মূল্যের থেরাপি : তিশা

হল ছাড়ছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা, আন্দোলনের ঘোষণা একাংশের

ভিসা নিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কঠোর বার্তা

গোলের বদলে ডিম! পাখির কারণে মাঠছাড়া ফুটবলাররা

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত বেড়ে ২৫০

নিজেদের অজান্তেই গাজায় বড় সফলতা পেল ইসরায়েল

সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক দুপুরে

ইন্দোনেশিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারমুখী অবস্থান, আন্দোলনে নতুন মোড়

প্রিন্স মামুনের সেলুন কেনা নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

১০

দুপুরের মধ্যে ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

১১

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১২

আফগানিস্তানে কেন বারবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানছে

১৩

সাদাপাথরে যে সৌন্দর্য ফিরবে না আর

১৪

আগস্টের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি ৯ ব্যাংকে

১৫

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

১৬

মাথায় টাক পড়ছে? ৫ অসুখের লক্ষণ হতে পারে চুল পড়া

১৭

৪৭তম ট্রফি জেতা হলো না মেসির, ফাইনালে মায়ামির লজ্জার হার

১৮

১৩০ বছরের ‘জিয়া বাড়ি’ আজও অবহেলিত

১৯

ফের আলোচনায় ভারতের সুপার স্পাই অজিত দোভাল

২০
X