কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শান্তি সমাবেশে

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ লীগের যৌথ আয়োজনে শান্তি সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ লীগের যৌথ আয়োজনে শান্তি সমাবেশ। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে অন্যায়ভাবে ও বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র আহ্ববায়ক কামরুজ্জামান লেলিন সেসময়ের স্মৃতিচারণ করে সব সামরিক কর্মকর্তার হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।

শুক্রবার (জুলাই) বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রলীগ লীগের যৌথ আয়োজনের শান্তির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

লেলিন বলেন, জাপানের রেড আর্মি ১৯৭৭ সালে বিমান হাইজ্যাক করে নিয়ে আসে। সেই বিমানকে ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণের অনুমতি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। জিয়া সামরিক অভ্যুত্থানের নামে নাটক করেছিল। সামরিক কর্মকর্তাদের এক মিনিটের নাটক করে প্রহসনের বিচার করেছিল। প্রায় ১৪০০ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল।

উপস্থিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকলকে একাত্মতা প্রকাশ করে জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করে লেলিন বলেন, এই খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করি। তৎকালীন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এক প্রহসনের বিচার করেছিল। জিয়ার অপরাধের বিচারের পথে সেই বিএনপিই এখন ন্যায়বিচারের পথে প্রধান বাধা।

বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসেছে উল্লেখ করে লেলিন বলেন, এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, জেলহত্যার বিচার হয়েছে, ১৯৭৭ সালে খুনি জিয়া যে ১ হাজার ৪০০ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল তার মরণোত্তর বিচার দাবি করছি।

মায়ের কান্না সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সময় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হওয়া ১২১ জন, কুমিল্লায় ৭২ জন, বগুড়ায় ১৬ জন এবং রংপুরে সাতজন সামরিক কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। বিমানবাহিনীর ৫৬১ জন নিখোঁজ হয়। এমনকি ঘটনার দিন যারা ছুটিতে ছিলেন তাদেরও ফাঁসি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন

কানাডায় গুলিবিদ্ধ ভারতীয় গায়ক

দক্ষিণ এশিয়ায় ভূগোলের চেয়ে রাজনীতি অধিক প্রভাবশালী হয়ে উঠছে : পিএসও

দেশের রিজার্ভ এখন কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‘প্রসূতি ও স্ত্রীরোগের সার্জারির সময় মূত্রথলি ও মূত্রনালি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে’

বনানীতে মি. ডি আই ওয়াই-এর অষ্টম স্টোর উদ্বোধন

সরকারে থাকা দলীয় লোকদের সরিয়ে দিতে হবে : রিজভী

ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের প্রতারণা বন্ধে মেটার নতুন উদ্যোগ

রাকসু নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ

টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে প্রস্তাবনার প্রতিবাদ

১০

চাকরি দিচ্ছে সিম্ফনি মোবাইল, আবেদন করুন এখনই

১১

রয়টার্সের জরিপ / ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চান অধিকাংশ মার্কিনিরা

১২

লিগ বর্জন করবে না ঢাকার ক্লাবগুলো

১৩

থানায় আসামির ছবি তুলে সাবেক শিবির নেতা আটক

১৪

আ. লীগ কার্যালয় ‘দখল’ ঘিরে বিতর্ক, এনসিপির দাবি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী অবস্থান’

১৫

ফেসবুকে ফ্রি ভেরিফিকেশন পেতে যা করতে হবে

১৬

এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন প্রয়োজন : নাহিদ ইসলাম

১৭

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম আরও বাড়ল

১৮

প্রতিবন্ধী হয়েও হার না মানা রিপনের পাশে দাঁড়াল ইউএনও

১৯

আবারও বাবা হলেন সংগীতশিল্পী আরফিন রুমি

২০
X