নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি (বিডিপিপি)। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক জরুরি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ অভিনন্দন জানানো হয়। শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে বিডিপিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মূল কারিগর হিসেবে উল্লেখ করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে ছাত্রদের জাতীয় বীর হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বৈঠকে বিডিপিপির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের বলেন, দেশ আজ স্বৈরাচারমুক্ত। গত ১৬ বছরে দেশে যে দুঃশাসন, দুর্নীতি, একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল- বাংলার বীর ছাত্ররা তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সব রাজনৈতিক দল মিলে যা পারেনি- অকুতোভয়, নির্ভীক ছাত্ররা তা করে দেখিয়েছে। এখন নতুন করে দেশ গড়ার সময়। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে- কোনো হানাহানি, মারামারি, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, হত্যাকাণ্ড যেন এ বিজয়কে ম্লান করে না দেয়। মনে রাখতে হবে, এ বিজয় অর্জনে অনেক প্রাণ গেছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সব মুক্তিকামী জনগণ এবং সব দল একত্রিত হয়ে দেশকে ক্ষুধামুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনভিত্তিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ দেশের সম্মানীয়, সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য সর্বাত্মকভাবে কাজ করবেন। এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের বিশ্বাস, তিনি তার বিচক্ষণতা দিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রেসিডিয়াম বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- পার্টির কো-চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম খান, পারভীন নাসের খান ভাসানী, মহাসচিব হারুন অর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, মাহফুজা বেগম, শওকত হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রিন্সিপাল কাইয়ুম ইসলাম, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির প্রমুখ।