আগামীকাল শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের রাজধানীর ঢাকার সব প্রবেশ মুখে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের একটি বক্তব্য পাঠানো হয়। এ বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার দুই দলের ঘোষিত কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামীকাল শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন রাজধানীর ঢাকার সব প্রবেশমুখে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ওই রাজনৈতিক দলসমূহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য কোনো অনুমতি গ্রহণ করেনি। আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও জনদুর্ভোগের বিষয় বিবেচনায় আগামীকালের সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান কমসূচি পালনে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হলো না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যর্ডিন্যান্স-১৯৭৬ এর ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, ‘জনসাধারণের শান্তি বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনার যখনই প্রয়োজন মনে করবেন এবং যতদিনের প্রয়োজন বিবেচনা করবেন লিখিত আদেশের মাধ্যমে কোনো জনসমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমতি ছাড়া ৩০ দিনের বেশি বলবৎ থাকবে না।’
এর আগে বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শেষে অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: শনিবার ঢাকার যেসব পয়েন্টে অবস্থান নেবে বিএনপি
নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি করবে বিএনপি।
বিএনপির এমন ঘোষণার পর ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
যুবলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, গাবতলী এবং আমিনবাজারে শান্তি সমাবেশ করবে তারা।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন। ভোর থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা আসেন।
একইভাবে দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জুমার নামাজের পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
মন্তব্য করুন