শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিজয়নগরে ছাত্র অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল

বিজয়নগরে ছাত্র অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল। ছবি : সংগৃহীত
বিজয়নগরে ছাত্র অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল। ছবি : সংগৃহীত

সাবের হোসেন চৌধুরী এবং এম এ মান্নানকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দিয়ে তাদের মুক্তি এবং ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগের যেসব দোসর ঘাপটি মেরে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে যে সকল শপথবদ্ধ মুজিববাদী রয়েছে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠবে। কেন সাবের হোসেন চৌধুরী এবং এম এ মান্নানকে আটক করা হলো? কেনই বা ক্লিন ইমেজের দাবি করে মুক্তি দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে তো আওয়ামী লীগ সাহস পেয়ে যাবে। তারা (আওয়ামী লীগ) মনে করবে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগের প্রতি সফট কর্নার রয়েছে। আওয়ামী লীগ মাঠে নেমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে কিন্তু এই সরকারকে তার দায় নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপ্লব চালিয়ে গিয়েছি। আমরা কখনোই কোনো সরকারের দালালি করিনি। আমরা এই সরকারেরও দালাল হবো না। তাদেরকে রাষ্ট্র সংস্কারে আমরা সহযোগিতা করবো, একই সাথে তারা ভুল করলে সমালোচনা করবো। এই সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কার করতেই হবে। এর আগে তাদেরকে সরানো যাবে না। তবে তারা যদি মনে করেন- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, তাহলে কিন্তু আমরা মেনে নিবো না। আওয়ামী লীগ ও তার দোসর জাতীয় পার্টির বিষয়ে ছাত্র-জনতার জিরো টলারেন্স অবস্থান।

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো ফ্যাসিবাদের দালালরা জামিনে বের হয়ে আসলে, এম এ মান্নানের মতো খুনের পরিকল্পনাকারীরা জামিন পেলে- গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। আওয়ামী লীগ আবার পুনর্জীবিত হবে। আমাদের সবার জেল-ফাঁসি হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের কোনো জামিন দেওয়া চলবে না। রাষ্ট্র সংস্কারের পরে জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলে সেটা ভাবা যেতে পারে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অর্ণব হোসেন, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক প্রক্রিয়া জাবেদ মায়া, দপ্তর সম্পাদক সানাউল্লাহ প্রমুখ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টানা জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার বাংলাদেশের

১৯ টি বিষয়ে ঐকমত্য এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে : অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকায় আ.লীগের গোপন বৈঠক থেকে গ্রেপ্তার ২২, এক সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে

হাসপাতালে গিয়ে বদরুদ্দীন উমরের খোঁজ নিলেন নাহিদ

কুয়েতে ১৩০ বাংলাদেশি শ্রমিক বিপাকে

জামায়াত আমিরকে দেখতে হাসপাতালে নাহিদ ইসলাম

দেশ গড়তে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : তারেক রহমান

‘এই এদের ধরেন তো’, সেই ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি

চট্টগ্রামে ভূমিকম্প, আতঙ্কে ছোটেন অনেকে

শেষ সময়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা বর্জন করল বাম দলগুলো

১০

বিশ্রাম চান না মেসি

১১

পল্লবী এলাকায় চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির নির্দেশ আদালতের

১২

‘আমি তোকে বিয়ে করিনি, এতদিন অভিনয় করেছি মাত্র’

১৩

ক্ষমতার লোভে জুলাইকে বিক্রি করা যাবে না : রাশেদ প্রধান

১৪

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্ক আর দৃঢ় করার সুযোগ রয়েছে

১৫

তালিকাভুক্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আইসিবির সভা

১৬

৫ আগস্ট সৃষ্টি না হলে দেশের মানুষ মুক্তি পেত না : ন্যাশনাল ছাত্রমিশন

১৭

‘শেখ হাসিনার দেশত্যাগের এক বছর পরও মানবাধিকার সংকট প্রকট’

১৮

ব্যাংক মার্জারে সরকার বিনিয়োগ করে লাভসহ ফেরত পাবেন : গভর্নর

১৯

ছোট বেলায় আমি...

২০
X