

জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচকের আফাকু কোল্ড স্টোরেজের খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে সহযোগিতা না করায় ইসলামী ব্যাংক বগুড়ার বড়গোলা শাখা ব্যবস্থাপক তৌহিদ রেজাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ব্যাংকের এসইভিপি ও এইচআরএডি প্রধান ড. এম কামাল উদ্দিন জসিম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বরিশাল জোনাল অফিসে বদলি করা হয়। আদেশ অনুযায়ী, একই দিন অফিস সময় শেষে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার, জুলাই গণহত্যার ৯ মামলার পলাতক আসামি আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর সংশ্লিষ্ট আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ অবৈধভাবে পুনঃতপশিলের চেষ্টা চলছিল।
অভিযোগ রয়েছে, আমেরিকায় পলাতক এমডি ও পরিচালকের ভুয়া স্বাক্ষর, জাল বোর্ড রেজুলেশন ও কাগজপত্র তৈরি করে ব্যাংকের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, বড়গোলা শাখা ব্যবস্থাপক তৌহিদ রেজা এসব অনিয়মে সম্মতি না দিয়ে ব্যাংকিং নীতিমালা ও আইন মেনে চলার অবস্থান নেন। এতে প্রভাবশালী মহলের চাপের মুখে তাকে দ্রুত শাখা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলেছে কেউ কেউ।
এতে করে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে জালিয়াতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন কার্যকর তদন্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? বরং অনিয়মে রাজি না হওয়া কর্মকর্তাকেই কেন বদলি করা হলো?
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক বগুড়া জোনাল প্রধান সিকদার শাহাবুদ্দিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমার কিছু বলার নেই। হেড অফিসে যোগাযোগ করেন।
মন্তব্য করুন