বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন বলেছেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশের মানুষ আতঙ্কিত। দেশের এই সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে আলোচনা সর্বোত্তম পথ।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক জোট পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আমরা মনে করি, সহিংস ও সংঘাতময় দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থ সমুন্নত রাখা এবং সংকটময় অর্থনীতি যেন আরও হুমকিতে না পড়ে, সেই বিবেচনাকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি।’
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মতিন বলেন, ‘সংঘাত নয়, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। এমন রাজনীতি চাই না, যাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি, এ নির্বাচন কমিশন কার্যকর স্বাধীন না হওয়ায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে বার বার ব্যর্থ।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে বৈশ্বিক মন্দায় রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি ও রিজার্ভ সংকটে অর্থনীতির নাজুক অবস্থা। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে খেটে খাওয়া দরিদ্রপীড়িত মানুষগুলো অনাহারে, অর্ধাহারে কঠিন সময় পার করছে। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে সব ব্যবসা-বাণিজ্য জিম্মি হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে মুক্তির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।’
মাসুম বিল্লাহ মিয়াজি ও অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলালের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান কাজী মুঈনুদ্দীন আশরাফী, মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলাহ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু নাসের তালুকদার, জাতীয় পার্টির কাজী মামুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলি, আবু সুফিয়ান খান আবেদি, এম সোলাইমান ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আবু তালেব বেলাল, আবু জাফর মঈনুদ্দিন, শাহজালাল আহমদ আখঞ্জি, সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদি, গোলামুর রহমান আশরফ শাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন : ‘বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়’
মন্তব্য করুন