কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভিসা বন্ধে ভারতে দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব হবে না : গয়েশ্বর রায়

‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ আয়োজিত এক প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা
‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ আয়োজিত এক প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা

বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা ও এলসি বন্ধসহ সম্পর্কের অবনতিতে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম’ আয়োজিত এক প্রকাশনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সাহিত্যিক-সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত ‘নেতা ও কবি’ বইয়ের প্রকাশনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৯০ শতাংশ। আমরা তো শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা এবং এলসি এসব যদি বন্ধ থাকে, তাহলে ভারতের দুর্ভিক্ষ ঠেকানো সম্ভব না। নরেন্দ্র মোদি এবং সোনিয়া গান্ধী সবাই বসে কপাল ঠোকাঠুকি করতে পারবে, কিন্তু দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, ভারত নিজেদের স্বার্থেই বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রেক্ষাপটে ভারতের কিছু সাংবাদিক মিথ্যাচার করছেন। এটাকে বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।

বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, আমাদের একটা ফরেন পলিসি আছে। আমরা বলেছি- সকল দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব, কিন্তু কোনো প্রভুত্ব না। শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ফরেন পলিসি থাকতে হবে। ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝে, তাহলে ভবিষ্যতে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে মুখোমুখি। আজকে তারা নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে। মালদ্বীপ এমনকি ভুটানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে, এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। ভারতকে ভাবতে হবে, দক্ষিণ এশিয়ার ভিতর সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে তারা কীভাবে চলবে? কোনো দেশই ভারতের সঙ্গে আপস করছে না।

গয়েশ্বর রায় বলেন, সংস্কারের কোনো শেষ নেই। এত কথা বলেন, কিন্তু আসল কথা কেউ বলছেন না, অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথা কেউ বলেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কেউই কিন্তু রাজনীতিবিদ নয়। সব সময় সব দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনীতিবিদরাই করেন। যারা অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তারা যদি মনে করেন তারাই সব- তাহলে কীভাবে হবে। তাহলে এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে পারবেন কতক্ষণ। কার্যত নির্বাচনে জনগণের মতামত প্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়।

মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে এবং দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সঞ্চালনায় এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

একটি মহল পিআরের নামে গণতন্ত্র নস্যাতের পাঁয়তারা করছে : টুকু

ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র ফোরামের নবগঠিত কমিটি অনুমোদন

তিতুমীর কলেজ ক্যান্টিনে ফ্যান বসালেন ছাত্রদল নেতা রিমু

বগুড়ায় আগুনে নিঃস্ব তিন পরিবারের পাশে তারেক রহমান

শেষ হলো ঢাকা জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে ৩ দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলা

ট্রাম্পের হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ

এনসিপির সেই নেত্রীকে অব্যাহতি

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য জবির বিশেষ পরিবহন সেবা

ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে লঙ্কান ক্রিকেটারের বাবার মৃত্যু

বিদেশি ঋণে রেকর্ড, ১১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

১০

‘শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমাদের সংগ্রাম চলবে’

১১

দুই দফা দাবি / আন্দোলনস্থান ত্যাগে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

১২

বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার আসামি টগর গ্রেপ্তার

১৩

শ্রীলঙ্কার জয়ে ভর করে সুপার ফোরে বাংলাদেশ

১৪

গাজায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

১৫

রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে এক আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৬

ইন্দোনেশিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সম্মেলন / অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন ও সম্প্রীতিময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে গুরুত্ব

১৭

পেনশন নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুখবর

১৮

অস্ত্র মামলায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

১৯

চাকসুতে ১০ পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

২০
X