বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া এবং চাঁদাবাজি দমন করতে হবে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য শ্রমিক মালিকদের করণীয় নির্দেশনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শিমুর বিশ্বাস বলেন, ঈদ আসলেই দুর্ভোগে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। অতীতে ঈদে বাড়ি যাওয়ার পথে মানুষের ভোগান্তি দেখেছি, পথে অভুক্ত থেকেছেন। তখন তাদের মনের ভেতর থেকে একটি অভিশাপ আছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা আমাদের ইবাদতের অংশ হবে। তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ভাড়া এবং পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এয়ারপোর্টে প্রবাসীরা যখন হয়রানির শিকার হন, তা গোটা দেশের উপর পড়ে। তেমনি পরিবহন সেক্টরে কিছু চাঁদাবাজের জন্য পুরো পরিবহন সেক্টরের দায় নিতে পারে না। বিগত সরকারের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও মামলা এবং হয়রানি থেকে রেহাই পায়নি। সেই ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হিসেবে পেতে চাই। এর জন্য চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, রেললাইনে বেশ আগে থেকে সিগন্যাল যেন না দেয়, পুরোনো বাস যাতে চলতে না পারে সে বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিব। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি বের হওয়ার সময় ওয়ান ওয়ে নিশ্চিত করে ব্যাপকভাবে মোবাইল কোর্ট বিস্তৃতি করা হবে।
বক্তারা ঈদের আগেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিত করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে করে বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করতে না পারে। লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনে, মার্কেট এবং বিপণীকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এতে বক্তব্য রাখেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরোয়ার হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এনামুল হক, ট্র্যাফিক বিভাগের ডিসি (মতিঝিল) জালাল উদ্দিন, মালিক সমিতির সাইফুল ইসলাম, আব্দুল বাতেন, শ্রমিক ফেডারেশনের আব্দুর রহিম বক্স প্রমুখ। সভায় আসন্ন ঈদে নিরাপদে ঘরে ফেরা ও ফিরে আসা নির্বিঘ্ন করার জন্য মহাখালী , গাবতলী, সায়দাবাদ, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, কমলাপুর রেল স্টেশনসহ ঢাকা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভি ও ইলেকট্রনিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা পুলিশ, বিআরটিএ, মালিক, শ্রমিক, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়।
মন্তব্য করুন