অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে এ ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) ফেসবুকে করা এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন হাসনাত।
পোস্টে তিনি লিখেন, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
হাসনাত আরও লিখেন, যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।
এর আগে ফেসবুকে করা আরেক পোস্টে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার ইস্যুতে ক্ষোভ ঝাড়েন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার করা ওই পোস্টে তিনি লেখেন, খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন? তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?
এর আগে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর দেশ ছাড়লেন ওই সরকারের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
বৃহস্পতিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র তার দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, এদিন রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। ফ্লাইটে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ কেউ ছিলেন না বলে জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, গত রাত ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ। সেখানে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় যাচাইবাছাই শেষে দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত পান তিনি।
মন্তব্য করুন