জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা বলেছেন, দেশের জনগণ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নয় বরং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়।
শনিবার (২৪ মে) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় দলের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, নাজমুল হাসান কাসেমী, আব্দুল বাছির, মুফতি মুজিবুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া।
নেতারা বলেন, পরাজিত শক্তি ও তার দোসরদের কোনো ফাঁদে পা দেওয়া হবে সম্পূর্ণরূপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এমতাবস্থায় সরকার ও সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
নেতারা আরও বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর যেমন রাজনৈতিক বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়, ঠিক তেমনি সংস্কারের নামে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থেকে পশ্চিমা কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের মানসিকতাও সমর্থনযোগ্য নয়।
উপস্থিত ছিলেন- তাফাজ্জুল হক আজিজ, মুফতি মাসউদুল করিম, মুহাম্মদ উল্লাহ জামী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা ড. শোয়াইব আহমদ, কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, আব্দুল মালিক চৌধুরী, আব্দুল হক কাওসারী, মকবুল হোসাইন কাসেমী, জয়নুল আবেদীন, লোকমান মাযহারী, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, আবুল বাশার, মাওলানা আলী আকবর কাসেমী, মুফতি নাসির উদ্দীন খান, জাবের কাসেমী, আব্দুল মালিক কাসেমী, তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, জিয়াউল হক কাসেমী, শামসুল আরেফিন সাদী, গোলাম মাওলা, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, নুর মোহাম্মদ কাসেমী, আব্দুল গাফফার ছয়ঘরি, নজরুল ইসলাম, মুফতি মাহবুবুল আলম, বশীরুল হাসান খাদিমানী, আমিনুল ইসলাম কাসেমী ও রুহুল আমিন নগরী প্রমুখ।
নেতারা মায়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর ও সুষ্ঠু পরিচালনার নামে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, দেশবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।
মন্তব্য করুন