নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সুবর্ণ অধ্যায়ে আরেকটি পালক যোগ করবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব সংকটের বহুমাত্রিক সমাধান খুঁজতে জি-২০ অংশীদারদের সাথে একত্রে কাজ করার অপেক্ষায় আছে।
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বলেই জি-২০ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছে। বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মতো বাংলাদেশের অনেক সফলতার গল্প আছে। জি-২০’র প্লাটফর্মে বাংলাদেশ সেই গল্প বলার সুযোগ পাবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন : ঢাকা থেকে নয়াদিল্লি’ শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জি-২০তে বাংলাদেশের শেরপা ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, জি-২০ অ্যাম্পাওয়ার অ্যাডভোকেট ও সংসদ সদস্য সেলিমা আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জি-২০’র সভাপতি ভারত গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যেখানে তারা ইচ্ছুক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করতে পারে। মন্ত্রী গ্লোবাল সাউথের বেশিরভাগ দেশকে নিছক প্রাপক বা ভোক্তা হিসেবে বিবেচনা করার মডেলের চেয়ে বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈচিত্র্যময় পুনঃবিশ্বায়নের জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের আহ্বানকেও স্বীকার করেন।
স্বাগত বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের সভাপতিত্বে এবারের জি-২০তে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ শুধুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে গুরুত্বের প্রতিফলন নয়। বরং ভারত বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ও ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা জি-২০ আলোচনায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে।
বছরজুড়ে জি-২০ আলোচনায় সক্রিয় থেকে ভারতের সভাপতিত্বে কার্যক্রমকে সফল করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রণয় ভার্মা আরও বলেন, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার ও এক ভবিষ্যৎ’ এই দৃষ্টিভঙ্গির বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনটি পৃথক অধিবেশনে নারীর নেতৃত্বে উন্নয়ন, পরিবেশ ও সবুজ উন্নয়নের জন্য লাইফস্টাইল এবং ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে আলোচনা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াঙ সিক, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লাহ সীকসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন