রাজধানীতে গণসংহতি আন্দোলনের হাতিরপুলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৩০ জুন) রাত ৮টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে।
এদিকে এই ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ মিছিল হাতিরপুল কার্যালয় থেকে কাঁচাবাজার হয়ে কাটাবন মোড় পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
সংক্ষিপ্ত মিছিলে উপস্থিত সবার সামনে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে আজকে গণসংহতির কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে গণঅভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি ভয় দেখাতে চায়; কিন্তু জনগণের শক্তি এতে মোটেও শঙ্কিত নয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করতে পতিত আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে; এরই ধারাবাহিকতায় দেশকে আতঙ্কিত করতে এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আগামীকাল (১ জুলাই) জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর, এই সময় এ ধরনের হামলা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষ বিচারের যে অগ্রগতির আকাঙ্ক্ষা করেছিল, তা এখন পর্যন্ত আশানুরূপ হয়নি, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। কাজেই দেশজুড়ে মব এবং আইনশৃঙ্খলার এরূপ অবস্থায় দেশের মানুষ হতাশ। শত শত ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অভ্যুত্থান বিফলে যেতে পারে না। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ওয়াদা যদি পূরণ না হয় এবং দেশে বিচার-সংস্কার ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর না ঘটে, তাহলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রও বিপর্যয়ের ভেতর পড়ে যাবে। সরকারের কাছে প্রত্যাশা, অবিলম্বে ককটেল বিস্ফোরণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের এই নির্বাহী সমন্বয়কারী বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভ্যুত্থানবিরোধী সব তৎপরতা রুখে দেবে।
বিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য আলীফ দেওয়ান, অপরাজিতা চন্দ, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ঢাকা মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি আলামিন রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন