এ মাসেই জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে বাংলাদেশে যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দেশের প্রচলিত আইনে নিশ্চিত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হচ্ছে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সদিচ্ছা; কিন্তু ওই কাজে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সঠিক হয়নি। এখানে মানবাধিকার সুরক্ষার দোহাই দিয়ে সমকামিতা ও অবাধ যৌনাচার, মুসলিম পারিবারিক আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দানসহ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কোনো অপতৎপরতা দেশপ্রেমিক জনতা কখনো মেনে নেবে না। এরই মধ্যে বাংলাদেশে নতুন করে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে একজন সমকামী ব্যক্তিকে নিয়োগদানের অভিযোগ উঠেছে; যা বাংলাদেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক হুমকি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, সংবিধানে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন থাকতে হবে। মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে। নতুন করে যাতে কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসন আসন গেড়ে বসতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে নির্বাচনে অর্থ ও পেশি শক্তির দাপট বন্ধে স্থায়ী বন্দোবস্ত থাকতে হবে। ঐকমত্যের ভিত্তিতে এ মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ আবু সালেহীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলানা শায়খুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, মাওলানা আহমদ বিলাল, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ নুর হোসেন, আবুল হোসেন, মাওলানা আজিজুল হক, আমির আলী হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন