ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান চালানো নিয়ে ‘প্রশ্ন’ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা কার্যক্রম দেখতে এসে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এ এলাকাটা ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে প্রশিক্ষণ বিমান দিয়ে উড্ডয়ন শিখবে, এটা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয়। এটা বিস্তীর্ণ প্রান্তরে হতে পারে। যশোর, কক্সবাজারের মতো জায়গায় হতে পারে। সেখানে পাশে সমুদ্র আছে, বিস্তীর্ণ জায়গা আছে। কিন্তু এ ধরনের ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় বিমান প্রশিক্ষণ নেবে, এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নেভিগেশন বা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আমি অবশ্যই জানব না। কিন্তু সাদা চোখে যেটা মনে হয়েছে, চারদিকে এত বাড়িঘর, মানুষ থইথই করছে, এর মধ্যে একটা প্রশিক্ষণ বিমান প্রশিক্ষণ নিতে পারে না। এটা নিয়ে প্রশাসন, সরকারের গুরুদায়িত্ব আছে। দায়িত্বে অবহেলা করলে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন বিপন্ন হতে থাকবে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘দুর্ঘটনা বলেকয়ে আসে না। এটা হতে পারে। কিন্তু আমরা যদি আগাম প্রস্তুতি রাখতে পারি, বিমানবন্দরের পাশে কী ধরনের লোকালয় গড়ে উঠবে, তার পরিকল্পনা থাকা উচিত। আমার মনে হয়, যেসব লোকালয় গড়ে উঠেছে, তা পরিকল্পনার অংশ নয়। এত ঘনবসতি এই এলাকায় হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কাউকে দোষারোপ নয়, সবাই যদি সবার দায়িত্ব পালন করে তবে অকালে কারও মৃত্যু হতো না।’
রিজভী জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা রক্তের জোগান দেওয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা করছে।’
আহতরা যেন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায়, সেই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা।
হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন।
মন্তব্য করুন