কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিস্মিত হেফাজতে ইসলাম

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের নৃশংসতার বিচারের কোনো প্রতিশ্রুতির উল্লেখ না থাকায় হতাশা ও বিস্ময় ব্যক্ত করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা।

বুধবার (০৬ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এ হতাশা প্রকাশ করেন সংগঠনটির আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, মূলত শাপলা চত্বরের গণপ্রতিরোধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও তৌহিদি জনতা দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অকাতরে রক্ত দিয়েছে; জান দিয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলা গণহত্যার বিচারের প্রতিশ্রুতি দূরের কথা, কোনো উল্লেখই নেই! ঘোষণাপত্র পাঠকালে হেফাজত নেতারা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এমনটি হয়েছে। ফলে এটি যে সচেতনভাবে করা হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। ওলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা হতাশ ও বিস্মিত! সামনে দিন আরও আছে। এই উপেক্ষার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের মনে থাকবে।

তারা আরও বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে দেশের সমগ্র ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা শাহবাগী-আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও হিন্দুস্তানি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ ও গণ-আন্দোলনের অভূতপূর্ব নজির গড়ে তুলেছিল। ওই বছরের ৫ মে ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচি দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে হেফাজতে ইসলাম। সেদিন মতিঝিল শাপলা চত্বরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাতের আঁধারে নিরীহ-নিরস্ত্র আলেম-ওলামা ও মাদরাসাছাত্রদের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার যৌথবাহিনী। তারা বহু লাশ গুম করেছিল। সেই নারকীয় গণহত্যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। এছাড়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর মোদির আগমনবিরোধী গণপ্রতিরোধেও শহীদ হন প্রায় দুই ডজন আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।

নেতারা বলেন, শাপলার শহীদদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা আজও সেই ভয়াল কালরাতের ট্রমা থেকে বের হতে পারেননি। তারা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন; নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ এখনো গণহত্যাকারী হাসিনার সাজানো প্রশাসন ও গোয়েন্দা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার। অত্যাচারীরা এখনো বহাল। সাক্ষীদের দীর্ঘদিনের মানসিক ভীতি ও ট্রমা কাটাতে এবং তাদের আস্থায় আনতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তা নাহলে শাপলা গণহত্যার বিচারকাজ আগানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার ষোল বছরের শাসনজুড়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী গণপ্রতিরোধের প্রেরণা ও পথিকৃৎ হেফাজতে ইসলাম। তেরো সালে শাহবাগী ফ্যাসিবাদকে রুখে না দিলে বাংলাদেশ বহু আগেই সামরিকভাবেও দিল্লির উপনিবেশে পরিণত হয়ে যেত। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ওলামায়ে কেরামের আত্মত্যাগ ও অবদান ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। ইসলামবিদ্বেষী সেক্যুলাররা কখনোই এতে সফল হতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শায়েস্তাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল যুবকের

প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে ৫টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে : প্রেস সচিব  

বেগম রোকেয়া’র ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে ইডব্লিউইউ’র সেমিনার

‘শিক্ষার্থীরা এআই দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, প্রিন্সিপাল বসে চা খাচ্ছেন’

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু

সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারে রোড সেফটির ১৮ প্রস্তাব

আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী-স্বজনদের জন্য নতুন নির্দেশনা

নিউমার্কেটে ১১০০ অস্ত্র উদ্ধার মামলায় ৯ কর্মচারী রিমান্ডে

স্বতন্ত্র শিক্ষা ক্যাডার রক্ষার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

১০

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হবে ডকু-ড্রামা ‘৩৬ জুলাই’

১১

‘ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের ৩ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের কাছে দেওয়া হবে’

১২

‎সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাইপ বিস্ফোরণ

১৩

গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭৮ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ 

১৪

জরুরি তথ্য চেয়ে মাউশির চিঠি

১৫

দেশ আবারও ওয়ান-ইলেভেন বা ফ্যাসিবাদের দিকে যেতে পারে : নুর

১৬

কমিউনিটি শিল্ড / লিভারপুলকে পেনাল্টিতে হারিয়ে চমক ক্রিস্টাল প্যালেসের

১৭

‘ভারতের বাঁধ নির্মাণ পর্যন্ত অপেক্ষা করব, শেষ হলেই ১০টি মিসাইল মারব’

১৮

রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত, দায়িত্বে দুই কেন্দ্রীয় নেতা

১৯

নীতিসহায়তা পেলে চিকিৎসা সরঞ্জাম খাত বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি শিল্প হবে

২০
X