ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট চাওয়ায় ছাত্রদলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, কোনরূপ সাংগঠনিক নির্দেশনা না থাকা সত্ত্বেও আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের ভোটারদের কাছে অযাচিতভাবে ভোট চেয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনা জেলা শাখার অধীনস্থ পূর্ব রুপসা থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আলী সুজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার কেমন জনপ্রিয়তা রয়েছে তা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যারেটিভ। এতে কার কত শতাংশ জনপ্রিয়তা রয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট দিতে ৯৪ দশমিক ৮ শতাংশ আগ্রহী এবং এবং বাকি ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আগ্রহী নয়। এছাড়া ভিপি (সহসভাপতি) পদে কাকে ভোট দিবেন তা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং বাকি ৭৫ দশমিক ৩ শতাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিদ্ধান্ত নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে শামীম হোসেনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার, আবু সাদিক কায়েমের পক্ষে ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ, আবিদুল ইসলামের পক্ষে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং উমামা ফাতেমার পক্ষে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জরিপে বলা হয়েছে, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ভোট কাকে দিবেন তা ঠিক করছেন ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। এর মধ্যে আরাফাত চৌধুরীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৬ দশমিক ১ শতাংশ, মেঘমল্লার বসুর পক্ষে ৯ দশমিক ১২ শতাংশ, এসএম ফরহাদের পক্ষে ৩২ দশমিক ১ শতাংশ, তানবীর বারি হামিমের পক্ষে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ, আবু বাকের মজুমদারের পক্ষে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে এখনো ঠিক করতে পারেননি ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। আর সিদ্ধান্ত নেওয়াদের মধ্যে এজিএস পদে তানবীর আল হাদী মায়েদের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, মহিউদ্দিন খানের পক্ষে ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ, আশরেফা খাতুনের পক্ষে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং জাবির আহমেদ জুবেলের পক্ষে ৪ দশমিক ০৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভারঅল জরিপে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী পরিষদ এগিয়ে আছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে, যেহেতু এটি কেবল আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে করা হয়েছে, ফলে বিপুল সংখ্যক অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের মতামত এখানে প্রতিফলিত হয়নি।
মন্তব্য করুন