জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, রাজপথে এই ভোট ডাকাত সরকারকে প্রতিরোধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটচোরকে ধরার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটচোরদের সময় শেষ, জনগণের বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
যুবদল সভাপতি বলেন, এই সরকার আবারও ভোট চুরি করতে চায়। ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে কেউ ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নিশিরাতে ভোট চুরি করেছে। সেজন্য বর্তমান সরকারকে নিশিরাতের অবৈধ সরকার বলা হয়। এবার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করতে চায়। সেজন্য দেশে-বিদেশে তদবির করে বেড়াচ্ছে। আমাদের সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভোট ডাকাত সরকাকে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে একদফার আন্দোলন চলছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, আব্দুস সাত্তার, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন