আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, আপনাদের সময় শেষ, দেশ-বিদেশে ধরনা দিয়ে লাভ হবে না। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নইলে বাংলাদেশের জনগণও আপনাদের স্যাংশন দিবে। তখন ঘরেও থাকতে পারবেন না, বাইরেও পালাতে পারবেন না।
আজ সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজবাড়ীর বসন্তপুর ইউনিয়ন বাজার মাঠে বিএনপির রোডমার্চের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির ‘একদফা’ দাবিতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে শরীয়তপুর পর্যন্ত এই রোডমার্চ হয়।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পেয়ে বাড়িতে বাড়িতে কান্নাকাটি চলছে, আর বাইরে গিয়ে মাইকের সামনে চাপাবাজি করে বলছেন- এসব স্যাংশন আমরা পরোয়া করি না।
তিনি বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার আগামী নির্বাচনেও ভোট ডাকাতি করতে চায়। সেজন্য দেশে-বিদেশে তদবির করে বেড়াচ্ছে। আমাদের সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভোটডাকাত সরকারকে প্রতিরোধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে দাবি করে যুবদল সভাপতি বলেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদের পরিণতি হয় ভয়াবহ। একদফা আন্দোলনে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে এবং সব গুম-খুনের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
টুকু বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। আমাদের সবাইকে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এখন বাইরে বের হওয়ার সময়, রাস্তায় নামার সময়। বাংলাদেশের সবাই পরিবর্তন চায়।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে তাদের মাঝে ফিরে পেতে চায়। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক। যুবদল সভাপতি বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারা আর এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ খৈয়মের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, খন্দকার মাসুকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, মাহবুবুল হাসান পিংকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, সহসাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন