বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনে দেশবাসী অতিষ্ঠ। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আবারও একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জোট আয়োজিত অবস্থান সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দুর্নীতি-লুটপাট ও পাচারের টাকা উদ্ধার, সিন্ডিকেট ভাঙা ও পাচারকারীদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী অবস্থান সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদ) সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ডক্টরস ফর পিপলস নেতা ডা. হারুন অর রশীদ, ৩১ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা রঘু অভিজিৎ রায়, পাটকল শ্রমিকনেতা মো. গোফরান, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার হোসেন রেজা, জাহিদ হোসেন খান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের দায়িত্বহীন আচরণের কারণে আজ দেশি-বিদেশি নানা শক্তি অপতৎপরতা চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। গণআন্দোলন ও গণসংগ্রাম ছাড়া ভোটাধিকার আদায় ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না।
তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, অথচ সরকার ব্যস্ত ক্ষমতা রক্ষা নিয়ে। অর্থনীতির অবস্থা নাজুক, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণহীন। অন্যদিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও বিদেশে টাকা পাচার থেমে নেই। এ অবস্থা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ফেল করে গেছে। ইলেকশন পরিবারতন্ত্র, জমিদারতন্ত্র ও দলীয়তন্ত্রের সিলেকশনে পরিণত হয়েছে। রাজনীতি চলে গেছে দুর্বৃত্তদের হাতে। নেতৃবৃন্দ সারা দেশে দমনপীড়ন বন্ধ ও ভোটাধিকার, গণতন্ত্র রক্ষায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে রাজপথে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশ থেকে আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য করুন