ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বাদ জুমা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ।
শাহ আলমের সভাপতিত্বে ও মুহাম্মদ আবদুল হাকিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ও প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী মহাসচিব আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী ও অধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।
সমাবেশে নেতারা বলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বর্বরোচিত বিমান হামলা থেকে ফিলিস্তিনের হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এবং শরণার্থী শিবিরও রেহাই পাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ড, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির শিকার নিরীহ এ মুসলিম রাষ্ট্রের বাসিন্দারা।
নেতারা বলেন, অসংখ্য মানুষকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের পাতায় এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। আন্তর্জাতিক আইনে এই হামলা সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ। এ হামলার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার দোসর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আন্তর্জাতিক আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শুধু নিন্দা জ্ঞাপন করলেই হবে না বরং এই হামলা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারলে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
তারা আরও বলেন, মেরুদণ্ডহীন জাতিসংঘ, আরব লিগ ও ওআইসির ভূমিকা যথার্থ নয়, দখলদার সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েলের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে এসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠান চরমভাবেব্যর্থ। ইসরায়েলকে জবাব দিতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই। ব্যর্থ এ সংস্থাগুলোর নীরব ভূমিকা ইসরায়েলের জন্য সহায়ক হচ্ছে। ওআইসিভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কঠোর ভূমিকা রাখলে এ হামলা ঠেকানো সম্ভব নচেৎ মুসলিম বিশ্বকে এর পরিণাম ভোগ করতে হবে।
ইহুদি ইসরায়েলিদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে মন্তব্য করে নেতারা বলেন, মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসকে অবৈধ দখলমুক্ত এবং হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য পুরো মুসলিম বিশ্বকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কচ্ছেদ অনন্য ভূমিকা রাখবে নিঃসন্দেহে। নেতাদের অবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাতের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি মাহমুদুল হাসান আলকাদেরি, ড. মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ড. আব্দুল আউয়াল, ইকবাল হাছান, মুফতি নাজমুস সাদাত ফয়েজি, মুফতি হাফিজ আহমদ শাফী নিজামী, হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ হোসাইন, ম ম জিলানি, মুফতি আহমদ রেজা ফারুকী, শাইখ আব্দুল মোস্তফা রাহিম আজহারী, মুফতি ইয়াকুব হুসাইন আল কাদেরী, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, আনিসুর রহমান আনিস, মাওলানা ফরদহাদুল ইসলাম বুলবুলি, মোহাম্মদ মাসউদ হোসাইন, আজাদ হোসাইন, শাহনেওয়াজ হেলাল, মুহাম্মদ মুহি উদ্দিন, শাহেদুল আলম চৌধুরী, কাজী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নুরী, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, রেহানে মুস্তফা, আরিফুল ইসলাম, হাফেজ জাদিুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পল্টন মোড়ে এসে মিলাদ ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
মন্তব্য করুন