কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩, ০৫:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাঙালি জাতির সব অর্জনে আ.লীগ জড়িত : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পুরোনো ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সব অর্জনের সঙ্গে দলটি জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

আজ শুক্রবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে ও খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে। বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন সূচনা করেন। সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা যেন সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্যই, যাদের নেতৃত্বে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি। সে কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আওয়ামী লীগের সূচনালগ্ন বর্ণনা করে দলটির যুগ্ম সম্পাদক বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শানিত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ হয়। ১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

স্বাধীনতাপূর্বকালেও আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির জন্য অনেক অর্জন বয়ে এনেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই মূলত ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়। কারণ ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পাকিস্তানি সরকার মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠা করেনি, সেটি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আরও কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা হবে কি না, জানালেন প্রেস সচিব

‘ন্যায়ের সেবায় শৃঙ্খলিত হোন’ নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারকদের বার্তা

গাজায় গেলেন শক্তিধর মার্কিন কমান্ডার, ঘাঁটি নিয়ে আলোচনা

‘হেক্সাগার্ড রোভার’ উদ্ভাবক জিহাদের পাশে তারেক রহমান

‘হেক্সাগার্ড রোভার’ উদ্ভাবক জিহাদের পাশে বিএনপি

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে বিপুল ভারতীয় পণ্য জব্দ

যে কারণে পেছাল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

সিরিজ বাঁচাতে বাংলাদেশের সামনে সহজ লক্ষ্য

ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তছলিম, সম্পাদক ফেরদৌস

সামাজিক অনুষ্ঠানে সাইক্লোন শেল্টার ব্যবহার করা যাবে : উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম

১০

স্বাস্থ্যসেবায় নার্সদের ভূমিকা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে : অতিরিক্ত সচিব সালাম

১১

উল্টে যাওয়া ইঞ্জিন উদ্ধারে গিয়ে লাইনচ্যুত হলো রিলিফ ট্রেন

১২

জকসু বিষয়ে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

১৩

জুলাই অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছেলে-মেয়েরা জীবন দেয়নি : সারজিস

১৪

মেসিকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিলেন স্কালোনি

১৫

এনপিবি নিউজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

১৬

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা শুরু

১৭

বাবা হারালেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা প্রিন্স

১৮

সেই মেজর জেনারেল কবিরের বিষয়ে যে তথ্য দিল সেনাসদর

১৯

আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে ধর্ষণে মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

২০
X