আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য নেতাকর্মীদের মাঝে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে বলে দাবি ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের। তবে শিগগিরই ‘ভুয়া’ নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে পালাবে আওয়ামী লীগ। তারা নিজেরাও জানে বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হলে আওয়ামী লীগকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে তপশিল বাতিল ও শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল সফলে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, এই নির্বাচন দৃশ্যত আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, নর্তকি ও খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছে। তাই এই নির্বাচনকে দেশি-বিদেশি সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তারা বলেন, স্যাংকশনের আওতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা এখন গোপনে মুচলেকা দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে বিদেশে পালাবার পথ খুঁজছেন। আওয়ামী লীগের আলামত ভালো নয়। তারা এখন দেশকে দেউলিয়া করার ষড়যন্ত্র করছে।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও রাশেদ প্রধান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু, সহসভাপতি চাষি এনামুল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন শামীম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব মো. আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট যুগ্ম মহাসচিব মো. ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাশেম ইসলামাবাদী, মুফতি কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, যুগ্ম মহাসচিব মো. শরীফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, ঢাকা মহানগর জাগপার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, ছাত্রসমাজের সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, ঢাকা মহানগর সভাপতি ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন