জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সর্বশেষ দলীয় কার্যালয়ে এসেছিলেন ২৩ নভেম্বর। সেদিন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে কো-চেয়ারম্যান হিসেবে পদোন্নতি দেন। তবে কথা বলেননি গণমাধ্যমে। তারপর গণমাধ্যমের সামনে আসেননি তিনি।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই উত্তাল দলটির বনানীর কার্যালয়। এর মধ্যেই কার্যালয়ে এসেছেন জি এম কাদের।
কী করবে জাতীয় পার্টি? অনিশ্চয়তা, উৎকণ্ঠা, ক্ষোভ বিরাজ করছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মাঝে।
শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ সময় পর পর্দার আড়াল থেকে জনসম্মুখে এসেছেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের। হাজির হয়েছেন বনানী কার্যালয়ে। মিটিং করছেন মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে। বৈঠক শেষেই সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা।
সকাল থেকেই কার্যালয়ের সামনে নানা স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এরপর থেকই কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বেলা ১টার দিকে বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন করার জন্যই আমরা আসছি। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি। এই নির্বাচনের বিষয়ে আজ ও আগামীকাল দুটি দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজ প্রত্যাহারের শেষ দিন ও কাল প্রতীক বরাদ্দের দিন। তাই নির্বাচনটা কীভাবে করব বা করব না- এই বিষয়টি আজকের মধ্যেই পরিষ্কার হওয়া দরকার। দলের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আছেন। তিনি আমাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের আরও নেতাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাদের সঙ্গে কথা বলে আজ বিকালে আবার সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া দলটির নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা নির্বাচনে যেতে চাই না। যদি যেতেই হয় আমাদের অন্তত ৪০টি আসন ছাড়তে হবে।
সূত্র জানায়, জাপার জন্য ২৬টি আসন রাখা হয়েছে। তবে এই তালিকায় রাখা হয়নি ঢাকার কোনো আসন।
তারা হলেন- দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, দলের কো-চেয়ারম্যান ও জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি সালমা ইসলাম; দলের কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।
মন্তব্য করুন