ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে ৩০০ প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এবং নতুন বাংলার চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন ফাইটন। তিনি বলেন, প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে দেশের মানুষ দিশাহারা। এজন্য আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালী প্রার্থীদের বিপক্ষে ৩০০ জন এমপি প্রার্থীকে আমরা সমর্থন করছি। যারা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয় সমন্বয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে আকবর হোসেন এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সমন্বয় কমিটির এই আহ্বায়ক বলেন, কোনো ব্যক্তি স্বার্থে নয়, এই জাতীয় সমন্বয় কমিটির সবাই সাধারণ ভোটার। কেউই এমপি বা মন্ত্রী হবে না, কারও দ্বারা প্রভাবিত বা প্ররোচিত হয়ে নয়, শুধু দেশের স্বার্থে, সংঘাত-সংঘর্ষমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জনস্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় সমন্বয় কমিটি। আমাদের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করে জনগণের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে চাই।
সেগুলো হল- ১। সকল কারাবন্দির সাধারণ ক্ষমা করা হবে। ২। যানজটমুক্ত হবে বাংলাদেশ, অফিস চলবে দুই রোস্টারে, গাড়ি চলবে জোড়-বেজোড় ও মিশ্র পদ্ধতিতে। ৩। ডোপ-টেস্ট এর মাধ্যমে মাদকমুক্ত হবে বাংলাদেশ। ৪। বিচারকার্য শেষ হবে তিন মাসের মধ্যে। ৫। পাস হবে সিনিয়র সিটিজেন আইন, ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সরকারিভাবে বেতন দেওয়া হবে, সকলের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, মানবাধিকার রক্ষা করা হবে। ৫। সবাই চাকরি করবেন নিজ নিজ জেলায়। ৬। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের খাদ্যভাণ্ডার। ৭। চালু হবে বিয়ে ভাতা, বিদেশে যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। সকলের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হবে।
এ সময় তিনি দল-মত-জাতি-ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে জাতীয় সমন্বয় কমিটির সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নীরব বিপ্লবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নতুন বাংলার চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন ফাইটন বলেন, বিগত ১৫ বছরে নতুন প্রজন্ম ভোটদান হতে বিরত আছে। সারাদেশে সব জায়গায় চলছে কমিটি ও মনোনয়ন বাণিজ্য। ঘুষ-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ভিআইপি প্রার্থীরা জনবিচ্ছিন্ন। বিরোধীদলীয় অপপ্রচার, ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন ও সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিরোধী দল বিভিন্ন রকম কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে জনগণ বিরোধী দলের আন্দোলনের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। আমরা বিগত সময়ের বিভিন্ন ঘাত- প্রতিঘাত, সংঘাত, সংঘর্ষ চিরতরে অবসান করতে চাই। সমগ্র জাতি নির্বাচন-পরবর্তী নতুন সরকারে আশাবাদী। এরই প্রেক্ষাপটে দল-মত, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীরবে ভোট ও ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মতামতকে জয়ী করতে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সমন্বয় কমিটি।
তিনি আরও বলেন, সর্বদলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে আমরা জাতীয় বিজয় নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। কোনো ব্যক্তি নয়- দেশ, মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে আসুন আমরা একবার ঐক্য করি। আসুন আমাদের সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচিত করি। আমাদের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলে জাতীয় সরকার গঠন করবে। আদায় হবে জনগণের দাবি।
মন্তব্য করুন