কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১২ পিএম
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জনগণ ভোট বর্জন করে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে : ১২ দল 

'একতরফা' নির্বাচনের প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করেছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা। ছবি : কালবেলা
'একতরফা' নির্বাচনের প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিল করেছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা। ছবি : কালবেলা

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগের একতরফা, ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের এই ভোট বর্জন ইতিহাসের মাইলফলক হয়ে থাকবে।

রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব ও পল্টন এলাকায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত হরতাল ও গণকারফিউর সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্যে এসব কথা বলেন নেতারা।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের এখনি নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, জনগণ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। দেশের মানুষ এ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণের এ নীরব 'ভোট প্রত্যাখ্যান' জাতির বিজয় এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের পরাজয়।

তারা আরও বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সেই ভোট ডাকাতির কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এ সরকার দেশ ও জনগণের জন্য একটি মহাবিপদ ডেকে এনেছে। তাই এ আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত জনগণের মুক্তি আসবে না। আমরা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ একদফার যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভুল পথে হাঁটতে শুরু করেছে। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে ভোট দিতে যায়নি। কারণ, এ সরকার ভোট চুরির মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, গণদাবি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা মঞ্চস্থ করছে। এই প্রহসনের নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এর মধ্য দিয়ে তারা এই একতরফা নির্বাচন ও সরকারের প্রতি তাদের অনাস্থা জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনগণ হরতাল ও গণকারফিউ স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালন করেছে। সরকারের মনে রাখা উচিত, বাংলার মজলুম মানুষেরা 'পরাজয়' মানে না। ইনশাআল্লাহ, জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, দেশের মানুষ একতরফা নির্বাচনের ভোট বর্জন করে এ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। জনগণের এই নীরব ভোট প্রত্যাখ্যানে জাতির বিজয় এবং এই সরকারের পরাজয় ঘটেছে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমিন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাঁচ দিন সাগরে ভেসে জীবিত ফিরলেন মোরশেদ

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছে নারী আম্পায়ার

মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

বিএনপি কর্মীদের নিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিলেন জয়

খাঁচায় বন্দি রেখে পাখি পালন করা কি জায়েজ আছে?

সাবেক স্ত্রীকে হত্যার পর যুবকের কাণ্ড

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

নদীতে ভাসছিল নিখোঁজ চালকের মরদেহ, উধাও অটো

টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন মোবাইল থেকে যেভাবে করবেন

দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত

১০

দলের স্বার্থে খেলে কপাল পুড়ল দুই ক্রিকেটারের, দাবি অশ্বিনের

১১

মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন 

১২

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টা হাতি মরে গেছে : রিজওয়ানা

১৩

প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১৪

ঢাবির ১৮ হল সংসদের প্রার্থী ঘোষণা ছাত্রদলের

১৫

স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও পরামর্শ দেবে কমিউনিটি ব্যাংক

১৬

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১৭

কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ দালাল আটক

১৮

টাকা ছাড়াই খাওয়া যায় যে ক্যাফেতে, দিতে হবে প্লাস্টিক বর্জ্য

১৯

বঞ্চিত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন পেশ

২০
X