দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শুধু ডামি প্রার্থী আর ডামি দল নয়, গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগ এবার রাষ্ট্রীয় বিপুল টাকা ব্যয় করে ডামি পর্যবেক্ষকও এনেছে বলে অভিযোগ করেছে আমার বাংলাদেশ, এবি পার্টি। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ঢাকায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতারা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, যেসব দেশে সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র নেই, যারা নিজেরাই দুর্নীতি ও অনৈতিক আচরণের জন্য দণ্ডিত এ রকম ডামি পর্যবেক্ষক এনে একটা জন প্রত্যাখ্যাত নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা খুবই হাস্যকর এবং সরকারের দেউলিয়াত্বের নির্লজ্জ প্রমাণ।
এ সময় দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ এমন এক প্রহসনের নির্বাচন করেছে যেখানে কুকুর, বিড়াল আর ভেড়ার পাল হাজির হয়েছে কোনো ভোটার হাজির হয়নি। সাংবাদিক আর বিদেশি দেখলেই ডামি ভোটার লাইন দাঁড় করিয়েছেন, সাংবাদিকও নাই লাইনও নাই। তেমনি কিছু বিদেশি লোক ভাড়া করে, ডামি পর্যবেক্ষক নিয়ে আসা হয়েছে। এ প্রহসনের নির্বাচন জাতি মেনে নেয়নি, গণতান্ত্রিক বিশ্ব মেনে নেয়নি। এ অবৈধ সংসদ আমরা চলতে দিতে পারি না, আমরা গণতান্ত্রিক বিশ্বকে বলব, একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচনকে আপনারা স্বীকৃতি দিবেন না।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, ১৯৭১ এর পর থেকে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা জনগণের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জনগণের ভোটাধিকার তারা লুট করেছে। এখন এ সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আমরা আবার রক্ত দিব, দেশকে বাকশাল মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।
দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ফেলানী দিবসে’ প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী দখলদারদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। আওয়ামী লীগ যেন আমাদের বলছে উত্তর কোরিয়া, বার্মা, বেলারুশ আর কম্বোডিয়াতে আপনাদের স্বাগতম। সকলে মিলে আমাদের নতুন পরাধীনতার শৃঙ্খল উদযাপন করব নাকি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্রের জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করব- সেটা দেশপ্রেমিক জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির সদস্যসচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আলী নাসের খান, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, হাসান মাহমুদ শাহীন, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন