কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়াবাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে বিকাল ৫টায় হাসপাতাল থেকে গুলশান বাসার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীসহ দলের নেতাকর্মী।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানাসহ বিভিন্ন নেতারা। লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়া গত বছরের ৯ আগস্ট শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

এর আগে বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। পরে আবারও কেবিনে নেওয়া হয়। এখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষে সবার কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতিতে গত ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি নেত্রীর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।

২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দির পর খালেদা জিয়া একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অসুস্থতার মধ্যে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণেও তিনি চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে গত ৯ আগস্ট থেকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে চিকিৎসার জন্য ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের বাসায় অবস্থান করেন। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি। খালেদা জিয়া বন্দির পর তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিপিএলের জন্য নতুন রূপে প্রস্তুত হচ্ছে রাজশাহী স্টেডিয়াম

সাংবাদিককে আটক করে পুলিশের মারধর, গায়েব করার হুমকি

রেড ক্রিসেন্ট থেকে এনসিপি নেতাকে অব্যাহতি

নাসিরের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আবারও এনসিএল শিরোপা রংপুরের ঘরে

কিশোরগঞ্জ থাকবে ঢাকাতেই, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

মক্কায় ১২৫ কিমি এলাকাজুড়ে স্বর্ণের খনির সন্ধান 

অগ্রযাত্রায় নবীন শিক্ষকদের অবদান রাখতে হবে : খুবি উপাচার্য

কক্সবাজার সৈকত থেকে অর্ধশতাধিক টংঘর উচ্ছেদ

১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই রাকসু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ : ভিসি

কুলদীপের ঘূর্ণিতে ফলোঅন, তবু লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১০

শেবাচিমে আধুনিক ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ চালু

১১

যমুনা টিভির সিইওকে নিয়ে মিথ্যাচার

১২

রিজওয়ান-সালমানের জুটিতে প্রথম দিনে স্বস্তিতে পাকিস্তান

১৩

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে : দুলু

১৪

লিবিয়ার উপকূলে ৬১ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার

১৫

উপদেষ্টার পরিদর্শনের পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নেই যানজট

১৬

যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টা

১৭

দোহায় হতে যাচ্ছে স্পেন-আর্জেন্টিনার বহু প্রতীক্ষিত ফিনালিসিমা!

১৮

অস্থায়ী ভিসার ৮২ পেশার তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাজ্য

১৯

মাউশি ভেঙে হচ্ছে পৃথক অধিদপ্তর, নাম কী?

২০
X