কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘সরকার দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারবে না কারণ সরকার নিজেই সিন্ডিকেট’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ছবি : কালবেলা
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ছবি : কালবেলা

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পাহারাদার। এই সরকার বিগত ১৫ বছরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারেনি। অবৈধ ক্ষমতার নবায়ন করে আবারও কেবল হাঁকডাকই দিচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনো সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হচ্ছে সরকার। ফলে সরকারের এই হাঁকডাক যে জনগণকে কেবল ধোঁকা দেওয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠা ছাড়া আর কোনো পরিণতি নেই।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে নেতার এসব বলেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মাহমুদ হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল গুলিস্তান বায়তুল মোকাররম হয়ে পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।

নেতারা বলেন, সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকার বিদেশি শক্তির কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়েছে। বিদেশি আনুকূল্যে তথাকথিত নির্বাচনের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সীমান্ত সমস্যা, পানি সমস্যাসহ সীমান্তে হত্যা নিয়ে কোনো কথা তিনি বলতে পারছেন না। বিএসএফের গুলিতে সীমান্ত বিজেপি সদস্যসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় সরকারের নীরবতা যেমন চলতে থাকে, তেমনি মিয়ানমারে উদ্ভূত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বোমার আঘাতে বাংলাদেশের দুজন সাধারণ মানুষও যখন নিহত হয় তখনো সরকার নীরবই থাকে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তণের বিষয় এরা কোনো স্বাধীন আর রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে পারেনি। এদের হাতে এ দেশের সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়, মানুষের জীবনও নিরাপদ নয়।

নেতারা আরও বলেন, সরকার নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির নির্বাচনকেও কারচুপি ও সহিংসতা মুক্ত করতে পারেনি। ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ ভোট বর্জন করলেও এরা ব্যালটে সিল মেরে ভোট বাড়িয়ে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য দেখানোর দেখানোর চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনোই মেনে নেবে না। নেতারা সকল সরকারি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে অবৈধ সংসদ বাতিল ও একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে গণআন্দোলন জোরদার করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএস ডি সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাঁচ দিন সাগরে ভেসে জীবিত ফিরলেন মোরশেদ

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে থাকছে নারী আম্পায়ার

মওলানা ভাসানী সেতুর স্বপ্নযাত্রা শুরু

বিএনপি কর্মীদের নিয়ে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিলেন জয়

খাঁচায় বন্দি রেখে পাখি পালন করা কি জায়েজ আছে?

সাবেক স্ত্রীকে হত্যার পর যুবকের কাণ্ড

বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

নদীতে ভাসছিল নিখোঁজ চালকের মরদেহ, উধাও অটো

টাইফয়েড টিকার রেজিস্ট্রেশন মোবাইল থেকে যেভাবে করবেন

দুদকের দুই উপ-পরিচালক বরখাস্ত

১০

দলের স্বার্থে খেলে কপাল পুড়ল দুই ক্রিকেটারের, দাবি অশ্বিনের

১১

মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে ভয়াবহ আগুন 

১২

আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ১২টা হাতি মরে গেছে : রিজওয়ানা

১৩

প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১৪

ঢাবির ১৮ হল সংসদের প্রার্থী ঘোষণা ছাত্রদলের

১৫

স্টার্টআপে বিনিয়োগ ও পরামর্শ দেবে কমিউনিটি ব্যাংক

১৬

মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

১৭

কুমিল্লায় ৫২টি পাসপোর্টসহ দালাল আটক

১৮

টাকা ছাড়াই খাওয়া যায় যে ক্যাফেতে, দিতে হবে প্লাস্টিক বর্জ্য

১৯

বঞ্চিত কর্মকর্তাগণের আবেদন পর্যালোচনা কমিটির ২য় প্রতিবেদন পেশ

২০
X