গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ আজ কর্তৃত্ববাদের নেতৃত্বকারী দলে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে তারা দেশকে উত্তর কোরিয়া বানাতে মরিয়া হয়ে গেছে। অথচ অতীতের আন্দোলনে আওয়ামী লীগেরও ভূমিকা আছে। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে তারাও জোরালো আন্দোলন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে তারা আজ দূরে সরে গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি দলটির একাংশের নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পূর্বে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আমরা পদার্পণ করেছি, কিন্তু ভাত ও ভোটের স্বাধীনতা আমরা আজও পাইনি। এখনো পর্যন্ত ভোটের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ আজ কর্তৃত্ববাদের নেতৃত্বকারী দলে পরিণত হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে তারা দেশকে উত্তর কোরিয়া বানাতে মরিয়া হয়ে গেছে। অথচ অতীতের আন্দোলনে আওয়ামী লীগেরও ভূমিকা আছে। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে তারাও জোরালো আন্দোলন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে তারা আজ দূরে সরে গেছে। আজকে কোথায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার? আমরা যারা ভিন্নমতের মানুষ রয়েছি, তাদের আদালতের বারান্দায় বারান্দায় দৌড়াতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, গুম, খুনের করালগ্রাসে পড়েছে বাংলাদেশ। এমন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। পবিত্র মাহে রমজানে আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন আওয়ামী লীগকে বোধোদয় দেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে তাদের বোধোদয় ও সদিচ্ছা দরকার। এতে তারাও ভালো থাকবে, দেশের জনগণও ভালো থাকবে। অন্যথায় আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পতন হবে। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চাই। পরিশুদ্ধ রাজনীতি ব্যতীত এ জাতির প্রকৃত মুক্তি মিলবে না। তবে এটা স্বীকার করতে হবে, যে ধরনের আন্দোলন সংগ্রাম একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার, সেটি আমরা গড়ে তুলতে পারছি না। আমাদের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুনভাবে, নতুন কৌশলে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের এ অংশের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত, ধর্ম ও সম্প্রতিবিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ হোসেন, সহস্বাস্থ্য সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি শাহ জাহান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি গাজী রুবেলসহ দলের ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন