কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জিয়া জাতিকে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন : বিএসপিপি

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। ছবি : কালবেলা
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। ছবি : কালবেলা

জিয়াউর রহমান জাতিকে স্বাধীনতার অন্যতম মূলস্তম্ভ বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিয়ে মুক্ত গণতান্ত্রিক চর্চার পথকে সুগম করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, শাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান এ কারণেই সবার থেকে আলাদা ছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে তিনি দেশকে স্বনির্ভরতার পথে তুলে দিয়েছিলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন ডা. জাহিদ।

সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা শেরেবাংলা নগরে সমবেত হন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বিএসপিপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবী নেতারা জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব এক ক্রান্তিকালে। ১৯৭১ সালে তার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা সেই সময় সারা দেশে মানুষের মনে সাহস ও উদ্দীপনা যুগিয়েছিল। তিনি জাতীয় সকল সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা জাতি কোনো দিন ভুলবে না।

তিনি বলেন, এই মহান উদার গণতন্ত্রী শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশবাসী একজন মহান দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীকে হারায়। তবে চক্রান্তকারীরা যতই চেষ্টা করুক, কোনো ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই তিনি বিস্মৃত হননি, বরং জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে অবস্থান করছেন তিনি।

জিয়াউর রহমানের জীবনের বড় তিনটি দিক তুলে ধরে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একটা হচ্ছে যে, জিয়াউর রহমান জাতির সবচেয়ে দুঃসময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। শুধু ঘোষণাই নয়, জীবনবাজি রেখে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন এবং যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে যে, ১৯৭৫ সালে যখন জাতি প্রায় দিশাহারা-কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না, তখন আবার তিনি ওই সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণের সামনে এসে দাঁড়িয়ে ফেইস করে, চ্যালেঞ্জ করে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। তার আরেক অনন্য কীর্তি হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি। এটি ছিল একটি বিশাল কর্ম। কারণ জাতীয়তাবাদী দর্শন একটি জাতি ও দেশের রক্ষাকবচ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতীয়তাবাদী চিন্তার প্রতিফলনের যে প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল, তার তাগিদ অনুভব করতে পেরেছিলেন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ধারায় ও সময়ের প্রয়োজনে সৈনিক জিয়া রূপান্তরিত হন রাষ্ট্রনায়কে। জিয়া যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছিলেন তা আজও অম্লান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শাকিল, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. এস এম আমিনুজ্জামান, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. রাশেদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. নুর মহল আক্তার বানু, প্রফেসর ড. নাজমুন নাহার তনু, প্রফেসর ড. সারোয়ার হোসেন, ড. রুহুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার জহির, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

পরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, জিয়া পরিষদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দল, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দল, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্ববাজারে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমেছে

৪ সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত, বজ্রবৃষ্টি পূর্বাভাস

রেখার সঙ্গে পরকীয়া, প্রেম ভাঙে অক্ষয়-রাভিনার

বিশ্বের সবচেয়ে ‘দয়ালু বিচারক’ ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন

রাশিয়ার তেল কেনায় ভারত শাস্তি পেল, চীন পেল না কেন?

সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সারওয়ার আলম

টিউমারের ভারে থমকে আছে শিশু মুকাব্বিরের দুরন্তপনা

১০ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নিখোঁজ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা উদ্ধার

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত মাহবুবুল আনামের

১০

চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা

১১

এবার কোথায় বসবেন তারা

১২

খাবার প্লেটের আকারের সঙ্গে স্বাস্থ্যের কী সম্পর্ক রয়েছে

১৩

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৫ বাংলাদেশি

১৪

কাঁচামরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

১৫

বিপিএল খেলা তারকা ক্রিকেটার প্রথমবার নাম লেখালেন সিপিএলে

১৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে সব রাজনৈতিক দলের আবেদন

১৭

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১৮

নেতানিয়াহুর ‘দুর্বল’ মন্তব্যের শক্তিশালী জবাব দিল অস্ট্রেলিয়া

১৯

এ যেন বক-পানকৌড়ির অভয়ারণ্য

২০
X