সার্ডিন মাছ পুড়িয়ে করা হচ্ছে বারবিকিউ। আছে পাউরুটিও। এসব খাওয়ার সঙ্গে মিউজিকের তালে তালে নেচে-গেয়ে লিসবনে সান্তো আন্তোনিও কিংবা সার্ডিন মাছ উৎসব পালন করছেন পর্তুগিজরা।
বুধবার (১২ জুন) দীর্ঘতম রাত হিসেবে বিবেচনা করে স্থানীয়রা লিসবনের ছোট ছোট গলিতে নেচে গেয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন নারী-পুরুষ সবাই।
প্রতি বছর জুন মাস এলেই লিসবন শহরের অলিগলি নানা রঙ্গে সাজিয়ে রাস্তায় রাস্তায় চলে এ উৎসব। দেশ-বিদেশ থেকেও হাজার পর্যটক অংশগ্রহণ করেন সার্ডিন উৎসবে।
পর্তুগিজদের মতে, ১২শ শতাব্দীর শুরুতে ফ্রান্সের দক্ষিণে প্রথম মিশনারি অভিযানে যান সেন্ট এন্থনি। সেখানে তার মন খারাপ হলে সাগর পাড়ে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। এ সময় সাগর পাড়ে কিছু সার্ডিন মাছ ভেসে আসতে দেখেন সেন্ট এন্তোনি। তিনি সেগুলো কুড়িয়ে আনেন এবং মনে করেন এটি সৃষ্টিকর্তার একটি আশীর্বাদ। তারপর থেকেই পর্তুগিজরা আশীর্বাদ মনে করে সার্ডিন মাছ পুড়িয়ে খান। আর ১২ জুন দীর্ঘতম রাত মনে করে উৎসবে মেতে ওঠেন তারা।
সেন্ট এন্তোনি লিসবনের সেন্ট হিসেবে পরিচিত। পর্তুগিজদের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সেন্ট এন্তোনিকে অলৌকিক ও ভালোবাসার সেন্টও বলা হয়। ১২ জুন এ উৎসবে অনেকেই তাদের পছন্দের মানুষকে চার্চে গিয়ে বিয়ে করেন। চার্চগুলোতে গণবিয়ের আয়োজন হয়। অনেকের ধারণা এটি একটি পবিত্র দিন।
পর্তুগাল প্রবাসী চৌধুরী আকবর হোসেন কালবেলাকে বলেন, সার্ডিন উৎসব শুরু হলেই নানা রকম আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন পর্তুগিজরা। বিশেষ করে ১২ জুন সারারাত নাচ, গান আর খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে উৎসবের উদ্যাপন সত্যি খুবই চমৎকার। এই দিন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরাও ভালো ব্যবসা করার সুযোগ পান।
পর্তুগাল প্রবাসী ও পরিবহণ ব্যবসায়ী রিদওয়ান আহমেদ কালবেলাকে বলেন, সার্ডিন উৎসবে বিকেল থেকেই উবার, বোল্টে চালকরা প্রচুর উপার্জন করে। কারণ লিসবনসহ আশপাশের মানুষ যাতায়াত করার জন্য পরিবহন ব্যবহার করেন। এতে বাংলাদেশিরাও ব্যবসা করার সুযোগ পান।
মন্তব্য করুন