কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কোনো কিছু না খাওয়ার কসম করে পুনরায় খেয়ে ফেললে করণীয়

কোনো কিছু না খাওয়ার কসম করে পুনরায় খেয়ে ফেললে করণীয়। ছবি : সংগৃহীত
কোনো কিছু না খাওয়ার কসম করে পুনরায় খেয়ে ফেললে করণীয়। ছবি : সংগৃহীত

কসম! আমরা ‍প্রায় বিভিন্ন বিষয়ে অনেককে কসম করতে দেখি। ইসলামের দৃষ্টিতে কসম করা জায়েজ। তবে তা যেন অপ্রয়োজনে না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। অপ্রয়োজনে বা কথায় কথায় কসম করা মাকরুহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।’ (সুরা: কলম, আয়াত ১০)

ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহ তায়ালার নাম ব্যতীত অন্য কোনো জিনিসের কসম করা নাজায়েজ। এমনকি কোরআনের কসম করাও জায়েজ নয়, আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টির মধ্য থেকে যার নামে ইচ্ছা কসম করতে পারেন। কিন্তু সৃষ্টির জন্য আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা জায়েজ নেই। তা সত্ত্বেও অনেক মানুষের মুখেই নির্বিবাদে গায়রুল্লাহর নামে কসম উচ্চারিত হয়। কসম মূলত এক প্রকার সম্মান, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ পাওয়ার যোগ্য নয়।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। কারো যদি শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৩৪০৭)।

অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে শিরক করল।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস ৩৪১৯)।

তবে কেউ কোনো ফলমূল বা খাবার না খাওয়ার কসম করলে তা পূরণ করা আবশ্যক। কেউ যদি কমস করে আমি এই জিনিসটি খাব না। তাহলে তার জন্য কসমের কারণে তা না খাওয়া আবশ্যক। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত- أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْحَرَامِ: يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا

তিনি বলেন, হালাল কিছুকে নিজের ওপর হারাম করা কসমের অন্তর্ভুক্ত। এরপর সেই কাজ করলে কাফফারা দিতে হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪৭৩)

তাই এমন কথা বলার কারণে যা না খাওয়ার কসম করা হয়েছে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু কসম করার পরেও যদি কেউ কসমকৃত বস্তু খেয়ে ফেলে তাহলে তার জন্য একটি কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হবে।

এজন্য কসমকারী নিজের পরিবারকে নিয়ে মধ্যম ধরনের যে খাবার গ্রহণ করে থাকেন, ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা সে রকম খাবার খাওয়াবে। অথবা দুই জোড়া কাপড় দেবে।

স্বাভাবিকভাবে, সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকাকে একদিনের খরচ ধরা হবে। সেই হিসেবে সদকায়ে ফিতর পরিমাণকে দশ দিয়ে গুণ দিলে যত টাকা হয়,তাই হবে কসমের কাফফারা। যেমন কোনো রমজানে সদকায়ে ফিতির সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থাকলে সেই হিসেবে ৭০০ টাকা হবে কসমের কাফফারা। লক্ষণীয যে, এটি পরিবর্তিত হতে পারে।

যদি টাকা দিয়ে কাফফারা আদায় করতে সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তিনটি রোজা রাখার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৮৪৯৬; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯২)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নতুন রূপে রণবীর-আলিয়া

নকল করতে গিয়ে ধরা, অভিমানে পাশের স্কুলে ছাত্রীর আত্মহত্যা

উপদেষ্টা পরিষদে ৪ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

রাগ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে কোন অঙ্গের ওপর, কীসের ক্ষতি হয় বেশি?

দ্বিতীয় ধাপে আরও ১৫৮ ইউএনওকে বদলি

এইচএসসিতে বাংলার সিলেবাস নিয়ে সিদ্ধান্ত দিল এনসিটিবি

পারিবারিক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধর্মেন্দ্রের স্মরণসভা

বিপিএলের নিলামে বিশ্ব তারকারা, তালিকায় নাম যাদের

পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেসবুকে উত্তরপত্র

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প

১০

১৩৬ পুলিশ পরিদর্শকের বদলি

১১

জামায়াত নেতা তাহেরকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

১২

বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৩

ক্লাসে বসা নিয়ে তর্ক, নবম শ্রেণির ছাত্রের ছুরিকাঘাতে আহত ৫

১৪

মৃত ব্যক্তির জন্য বিলাপ করে কান্না করেন? জানুন এতে কী হয়

১৫

২৪ ঘণ্টায়ও থামেনি হংকংয়ের আগুন, বেড়েছে নিহতের সংখ্যা

১৬

মৃত মা-বাবার জন্য সওয়াব পৌঁছাতে যে ২ আমল করবেন

১৭

দুদকের জালে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ

১৮

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত : ইসি সচিব 

১৯

শেখ হাসিনা-জয় ও পুতুলের সঙ্গে অন্য ১৮ আসামির যে সাজা হলো

২০
X