ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘরে মৃত মানুষের ছবি টানানো যাবে কি? যা বলছে হাদিস

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

মানুষের জীবনে ভালোবাসা, সম্পর্ক ও স্মৃতি— এই তিনটি বিষয় গভীরভাবে জড়িত। প্রিয়জনের মুখ, হাসি, কথা, ব্যবহার- সবই হৃদয়ের পাতায় গভীর ছাপ ফেলে রেখে যায়। কেউ যখন দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়, তখন তার স্মৃতিগুলোই বেঁচে থাকে কাছের মানুষের মাঝে। প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে অনেকেই মৃত আত্মীয় বা প্রিয়জনের ছবি মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখেন, তাদের স্মরণে মাঝে মাঝে সেই ছবি দেখেন, আবেগে ভেসে যান। এটি যেন এক ধরনের মানসিক শান্তির উৎস হয়ে দাঁড়ায় অনেকের কাছে।

কিন্তু একজন মুসলমানের জীবন শুধুই আবেগ দিয়েই নয়, চলে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী। ইসলামে প্রতিটি কাজের আগে দেখা জরুরি— এটি হালাল কি হারাম? জায়েজ কি নাজায়েজ? আবেগ, ভালোবাসা কিংবা সামাজিক রীতিনীতির চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায় আল্লাহর হুকুম এবং রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।

এই প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, ঘরে মৃত মানুষের ছবি টানানো কি ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে অনুমোদিত? এটি কি আত্মার শান্তির মাধ্যম, নাকি কোনো গোনাহের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে?

এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, মানুষের ফটোগ্রাফির যে ছবি আছে, অর্থাৎ যা মোবাইল কিংবা অন্য কোনো ডিভাইসে তোলা হয় কিন্তু প্রিন্ট করা হয় না— এটা নিয়ে উলামায়ে কেরামের দুটি মত রয়েছে। এক শ্রেণির উলামায়ে কেরাম জায়েজ বলেন।

অন্য শ্রেণি নাজায়েজের পক্ষে। অতএব, যারা জায়েজের পক্ষে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী- মোবাইলে মৃত ব্যক্তির ছবি রাখা যাবে। আর যারা নাজায়েজের পক্ষে, তাদের ভাষ্যমতে মোবাইলে মৃত ব্যক্তির ছবি রাখা যাবে না। তবে প্রিন্ট করা ছবি অথবা তুলিতে আঁকা ছবি নাজায়েজ হওয়ার ব্যাপারে কোনো আলেমের দ্বিমত নেই। তাই মৃত কিংবা জীবিত— কারোর ছবিই ঘরে টানানো যাবে না। এমনটা করলে গোনাহ হবে।

যা বলা হয়েছে হাদিসে

হাদিস শরিফে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) একবার কাবাঘরে প্রবেশ করলেন। সেখানে তিনি ইবরাহিম (আ.) ও মরিয়ম (আ.)-এর ছবি দেখতে পেলেন। তখন তিনি বলেন, তাদের কী হলো? অথচ তারা তো শুনতে পেয়েছে, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকবে, সে ঘরে ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না। এই যে ইবরাহিমের ছবি বানানো হয়েছে, (ভাগ্য নির্ধারক অবস্থায়) তিনি কেন ভাগ্য নির্ধারক তীর নিক্ষেপ করবেন! (বোখারি : ৩৩৫১)

মুসলিম শরিফে এসেছে, ফেরেশতারা এমন ঘরে প্রবেশ করেন না যাতে কোনো কুকুর রয়েছে এবং এমন ঘরেও না, যাতে কোনো (প্রাণীর ছবি প্রদর্শিত অবস্থায়) ছবি রয়েছে। (মুসলিম : ২১০৬)

যা করতে হবে

আপনার কর্তব্য হলো, মানুষ বা জীবজন্তুর যত ছবি ঘরে টাঙানো আছে তা নামিয়ে ফেলা এবং তা নষ্ট করে ফেলা।

উল্লেখ্য, বিনা প্রয়োজনে ছবি উঠানো (প্রিন্ট) নাজায়েজ। হাদিস শরিফে ছবি উঠানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর ধমকি এসেছে। ( মাসিক আল কাউসার)

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রাথমিকের ৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য দুঃসংবাদ

এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ তজুমদ্দিন-মনপুরা নৌরুটের সি-ট্রাক

জাগপার সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে আমান

ভারতকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের পথে রাশিয়া

জানা গেল রাকসু নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা

কনস্টেবলকে মারধর / গ্রেপ্তারের পরদিনই মুগদা মেডিকেলের চিকিৎসকের জামিন

খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ফের ভাঙচুর

দুই মামলায় হাসিনা কাদের লিটনসহ ২৪৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

উকিলের ‘আয়নাবাজি’: বিনা দোষে সাজা খাটলেন এনামুল

এসএসসি পাসেই বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডে চাকরির সুযোগ

১০

ডাকসু নির্বাচনে ছুটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১১

একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আ.লীগ : ড. মঈন

১২

ভিয়েতনামে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের

১৩

ইনু-মেননরা গ্রেপ্তার হলে জিএম কাদের কেন নয়, প্রশ্ন রাশেদের

১৪

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ইসি সানাউল্লাহ

১৫

যে নম্বর থেকে কল এলেই বুঝবেন বিপদে পড়তে যাচ্ছেন

১৬

সম্পর্ক মধুর রাখতে বিশেষজ্ঞদের ৭ পরামর্শ

১৭

১৯৮৮ সালের পর ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাঞ্জাব, নিহত ৩০

১৮

জাপাসহ ১৪ দল নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকারের বিক্ষোভ

১৯

ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককে সম্মান করি, কিন্তু...

২০
X