কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যথেষ্ট হয়েছে, আর পেছনে ফেরার পথ নেই : হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : কালবেলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : কালবেলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ব্যান আওয়ামী লীগ লিখে পোস্ট দেন।

এরও কিছু আগে, আরেক পোস্টে তিনি বলেন, আয়নাঘর, হাসিনার হত্যা, আমার ভাই শহীদ কাশেমের মৃত্যুতে প্রতিবিপ্লব। যথেষ্ট হয়েছে। এখন আর পেছনে ফেরার পথ নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তার আগে বুধবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যান। আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নৃশংস অবস্থা। প্রতিটি জিনিস যে হয়েছে এখানে, যতটাই শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কী আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ। আমরা কী এটা করলাম। যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।

তিনি আরও বলেন, এ রকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে আছে; সেগুলো শুনলাম আজকে। আমার ধারণা ছিল, এখানে আয়নাঘর বলতে যে কয়েকটা আছে তা-ই। কিন্তু এখন শুনলাম, আয়নাঘরের ভার্সন সারা দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে এ আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিচার করা হবে। এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে।

উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩ ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

শিক্ষার্থী চারজন, পরীক্ষা দেওয়া দুজনের কেউ পাস করেনি

ধারাবাহিকের মূল ভূমিকায় হেদায়েত উল্লাহ তুর্কী 

রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ

খতমে নবুওয়তের চেতনায় সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে যাক কালবেলা : মুহিউদ্দীন রাব্বানী

এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করবেন যেভাবে

চট্টগ্রামে আগুন ৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ২৫ শ্রমিককে উদ্ধার

চীনে ৩০ পাদরি গ্রেপ্তার, বড় অভিযানের আশঙ্কা

মোস্তারির অর্ধশতকে অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

‘ভর্তির পরে সবার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই কেউ পাস করেনি’

১০

সর্বপ্রথম কোথায় আজান হয়েছিল, কার কণ্ঠে?

১১

নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ হবে : মির্জা ফখরুল

১২

রাকসু নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর

১৩

যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত, আন্দোলনরত শিক্ষকদের বড় কর্মসূচি ঘোষণা

১৪

গাজায় সৈন্য পাঠাতে যাচ্ছে পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়া!

১৫

রংপুর ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ ৫

১৬

‘ইলেকশন ইন ফেব্রুয়ারি’ স্লোগানে ঢাবিতে ছাত্রদলের মিছিল 

১৭

টাঙ্গাইলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪

১৮

নেসলের ১৬ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

১৯

বাবা হলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

২০
X