কোনো কোনো মৃত্যু গোটা জাতিকে নাড়া দিয়ে যায়। স্মরণ করিয়ে দেয় দেশপ্রেম। বৈমানিক আসিম জাওয়াদের মৃত্যুর ব্যালায়ও তেমনটি ঘটেছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বীর পাইলট আসিম জাওয়াদ।
ঘটনার পরই নেটদুনিয়ায় হিরো হয়ে গেছেন তিনি। ফেসবুকজুড়ে তাকে নিয়ে বীরত্বপূর্ণ মন্তব্য করছেন অনেকেই। তারা জাওয়াদের ছবিসহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া এই বীরকে। তরুণদের কাছে জাওয়াদ এখন দেশপ্রেমী এক বীর। নিজের মৃত্যুর মুখেও সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর এমন চেষ্টায় মুগ্ধ গোটা বাংলাদেশ।
নানা প্রতিভার অধিকারী এ বৈমানিকের বাড়ি মানিকগঞ্জ। তার এলাকাবাসী বলছে, ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল বৈমানিক হওয়ার। ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভর্তির সুযোগ পান বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটেও। কিন্তু কোনোটাতেই ভর্তি হননি, স্বপ্নপূরণে যোগ দেন বিমানবাহিনীতে।
জাওয়াদের যানা যায় অংশ নেওয়া ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই বীরকে নিয়ে এখন গর্ব করছেন। তার এমন চলে যাওয়ার মাঝেও অনেক অর্জন খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। মৃত্যুর মাঝেও তিনি প্রমাণ করে গেছেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সবার ওপরে। তাই তো জাওয়াদকে নিয়ে ফেসবুকে সরব হাজারো তরুণ।
আব্দুল আওয়াল নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী আসিম জাওয়াদের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বীরদের কখনো মৃত্যু হয় না। লাখো শহীদের এই মাটিতে বীরেরা বারবার জন্মায়। কখনো ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান হয়ে আবার কখনো বা লিডার আসিম জাওয়াদ হয়ে।
আরেকজন স্ট্যাটাসে বলেন, ‘নিজে মরে গিয়ে বাঁচিয়ে গেলেন অনেককে।’
মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান আসিম জাওয়াদকে নিয়ে ইমরান আহমেদ ফেসবুকে লিখেন, ‘আসিম জাওয়াদ অনেকগুলো জীবন বাঁচিয়ে প্রমাণ করেছেন, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউররা এখনো এদেশে জন্মায়।’
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বিমান দুর্ঘটনার পরই হাসপাতালে মারা যান ৩১ বছর বয়সী আসিম জাওয়াদ। ঘটনার ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ১৯৯২ সালের ২০ মার্চ মানিকগঞ্জে জন্ম হয় জাওয়াদের। তার এলাকাবাসীর দাবি, আসিমের এই বীরত্বের কথা মনে রাখবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন