স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাদককাণ্ডে নিষিদ্ধ প্রোটিয়া পেসার

কাগিসো রাবাদা। ছবি : সংগৃহীত
কাগিসো রাবাদা। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার কাগিসো রাবাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নেমে এলো অপ্রত্যাশিত এক ছায়া। রিক্রিয়েশোনাল ড্রাগ বা অবসরধর্মী মাদক ব্যবহারের দায়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন এই তারকা বোলার। যে কারণে আইপিএল ২০২৫-এর মাঝপথেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ভারত ত্যাগ করেছিলেন তিনি।

সম্প্রতি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো নিশ্চিত করেছে, রাবাদার এই মাদক সেবনের ঘটনা ঘটেছিল জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এসএ২০ টুর্নামেন্ট চলাকালে। ওই সময় তিনি এমআই কেপটাউনের হয়ে খেলছিলেন।

এই বিষয়ে নিজের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের সংগঠন সাকা-র মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার দায়িত্ব ভুলে গিয়েছিলাম। আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এই খেলাটা আমার কাছে শুধু পেশা নয়, ভালোবাসা। আমি ভুল করেছি, কিন্তু এই ভুলই আমাকে সংজ্ঞায়িত করবে না।’

বর্তমানে তিনি একটি সাময়িক নিষেধাজ্ঞার অধীনে আছেন এবং শিগগিরই মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। শেষবার তিনি খেলেছিলেন ২৯ মার্চ, যার ফলে অনুমান করা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্টি-ডোপিং সংস্থা SAIDS এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের ডগ ব্রেসওয়েলের মতোই রাবাদার শাস্তিও এক মাসে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, যদি তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাবাদার ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কিংবা আসন্ন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই।

রাবাদা নিজে জানিয়েছেন, তিনি ফিরে আসতে প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতে এমন ভুল আর করবেন না। তার ভাষায়, ‘এই মুহূর্ত আমাকে থামাতে পারবে না। আমি আবারও সেই আগের মতো মাঠে ফিরবো, লড়াই করবো, এবং প্রমাণ করবো আমি শুধুই একজন মাদককাণ্ডে জড়ানো ক্রিকেটার নই—আমি একজন লড়াকু যোদ্ধা।’

বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান ফাস্ট বোলারের এই পরিণতি যতটা হতাশাজনক, তার প্রত্যাবর্তনের ইচ্ছেটা ঠিক ততটাই অনুপ্রেরণাদায়ী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মেয়ের জন্য চিপস আনতে গিয়ে প্রাণ হারান মোবারক

১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় সংকটে মার্কিন ডলার

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন : অধ্যাপক মোর্শেদ

তারা ভেবেছে, নারীঘটিত বিষয় নিয়ে প্রচারে আমার ভোট কমে যাবে : আমির হামজা

পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপিকে চরমোনাই পীরের কড়া বার্তা

নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে : মান্না

ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পূর্বাচল আর্মি ক্যাম্পের সেনারা

চুক্তি নবায়নের পর মোনাকোয় ধারে গেলেন বার্সা তারকা ফাতি

উড্ডয়নের ৭ মিনিটেই মাটিতে আছড়ে পড়ল বিমান, সব আরোহী নিহত

১০

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : খালেদা জিয়া

১১

ঘরে ঝুলছিল বিচারকের স্ত্রীর লাশ

১২

বুমরাহকে নিয়ে ঝুঁকির মুখে ভারত: খেলালে সব শেষ?

১৩

জবি শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

১৪

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল রেসপন্স সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই

১৫

পাথর কোয়ারি বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

১৬

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি ইসরায়েল’

১৭

বিইউবিটিতে বিগ ব্যাং তত্ত্ব নিয়ে সেমিনার

১৮

নতুন ভূমিকায় মিরাজ, ব্যাটিং অর্ডারেও আনছেন পরিবর্তন

১৯

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুমোদন চক্রান্তের পদধ্বনি : খতমে নবুওয়ত

২০
X