আলো ঝলমলে এক নতুন সূর্য উঠল বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে—নামের পাশে সেঞ্চুরির মুকুট নিয়ে উদিত হলেন পারভেজ হোসেন ইমন। লিটন দাসের নেতৃত্বে মাঠে নামা তরুণ ও পরীক্ষামূলক একাদশে আস্থার প্রতীক হয়ে দেখা দিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তামিম ইকবালের পর ইমনই হলেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার, যিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এই সেঞ্চুরি শুধু গৌরব নয়, তা এসেছে এক অনবদ্য গতি ও দাপটের ছাপ রেখে। মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতক, এরপর আরও ২৫ বলে শতক—মোট ৫৩ বলেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করে গড়লেন বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড।
দিনের শুরুটা যদিও মিশ্র ছিল বাংলাদেশের। তানজিদ তামিম ও ইমনকে দিয়ে ওপেনিং শুরু করেছিল দল। তামিম বড় শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ৯ বলে ১০ রান করে দ্রুত বিদায় নেন। তিনে নামা অধিনায়ক লিটন দাসও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি—১১ রানেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান।
পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৫/২। মাঝে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শেখ মেহেদী কিংবা শামিম পাটোয়ারীরা সবাই শুরুটা করেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে বোলারদের ওপর রীতিমতো আগ্রাসন চালিয়ে যান ইমন।
শেষ পর্যন্ত তার দুর্দান্ত ইনিংস থামে ৫৪ বলে ১০০ রানে। যদিও তার বিদায়ের পর ব্যাটিং ইনিংসে ছন্দ কিছুটা হারায় বাংলাদেশ, তবে ইমনের এই ইনিংস বহুদিন মনে রাখবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এই ইনিংস শুধু একটি শতক নয়, বরং এক সম্ভাবনার বার্তা—বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে একজন নতুন ম্যাচ উইনারের আগমন ঘটেছে, তা যেন আজ স্বাক্ষর রেখে গেল পারভেজ হোসেন ইমন।
মন্তব্য করুন