বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাটকীয় পরিবর্তনের পর অবশেষে দায়িত্ব পেলেন নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দায়িত্ব নেওয়ার দিনই সংবাদ সম্মেলনে বসে দেশের ক্রিকেট নিয়ে নিজের ভাবনা শেয়ার করলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক ও দেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। সেখানে উঠে এল সাকিব আল হাসান–কে ঘিরে চলমান বিতর্কের প্রসঙ্গও।
সাকিব আল হাসানকে আবারও জাতীয় দলে দেখা যাবে কি না—এই প্রশ্নের উত্তরে বিসিবির ১৬তম সভাপতি আমিনুল বলেন, ‘উপদেষ্টার চাওয়া-না চাওয়ার সঙ্গে এটি সম্পর্কিত নয়। তিনি তো (বিসিবির) নির্বাচক না। আমাদের একটি গঠনমূলক প্রক্রিয়া আছে। সেই অনুযায়ী নির্বাচক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে এবং বোর্ড তা সম্মান জানাবে।’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়—সাকিব ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রভাব নয়, গুরুত্ব পাবে কেবল ক্রিকেটীয় পারফরম্যান্স ও ফিটনেস।
নতুন সভাপতির ভাষ্য, ‘সাকিব বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। আমরা আশা করব, সে ফিট থাকবে এবং ভালো ক্রিকেট খেলবে। তবে দলে ফেরার জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে হবে।’
বলা বাহুল্য, সাকিবের প্রতিভা বা অবদান নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন জাতীয় দলে না খেলা এবং মাঠের বাইরে থাকা অবস্থায় ফিটনেস প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বহুবার।
গত বছরের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। নির্বাচনের আগে তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন, এবং সেই প্রেক্ষাপটে কিছু রাজনৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে জানা যায়, অক্টোবরের একটি টেস্ট ম্যাচে খেলার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাকে মাঠে নামতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে। সে ম্যাচই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে—যেখানে সাকিব চেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে।
সংবাদ সম্মেলনের দিন সন্ধ্যায় লাহোরে সিরিজ বাঁচাতে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। এ নিয়েও কিছুটা আবেগ নিয়ে বক্তব্য দেন আমিনুল। ‘আমরা সবাই একটু টেনশনে আছি। কারণ আগের ম্যাচটি হেরেছি। আজকের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
নতুন সভাপতির কথায় স্পষ্ট—জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের দরজা খোলা, তবে তা শুধু প্রতিভা নয়, নিয়ম, ফিটনেস এবং পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই।
মন্তব্য করুন