কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ভেবেছিল উইকেট থাকবে ব্যাটিং স্বর্গের মতো। কিন্তু শুরুতেই তাদের সেই ধারণা ভেঙে দেয় বাংলাদেশের পেসাররা। নতুন বলে বাউন্স ও গ্রিপ পাওয়া পেসারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ধুঁকতে থাকে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ।
তবে চারিথ আসালাঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১০৬) দলকে এনে দেয় লড়াইয়ের মতো সংগ্রহ। আসালাঙ্কার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন কুসাল মেন্ডিস (৪৫), লিয়ানাগে (২৯), মিলান রাথনায়েক (২২) ও হাসারাঙ্গা (২২)। শেষ পর্যন্ত ৪৯.২ ওভারে অলআউট হয়ে শ্রীলঙ্কা তোলে ২৪৪ রান।
শুরুতেই বাজিমাত করেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বাউন্সে বিভ্রান্ত করে আউট করেন নিসাঙ্কাকে (০)। এরপর মিলানকে বোল্ড ও শেষ ওভারে আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে তার শিকার দাঁড়ায় ৩ উইকেট।
অন্যদিকে, অভিজ্ঞ তাসকিন আহমেদ শুরুর ধাক্কা আরও তীব্র করে দেন। মাদুশকা (৬) ও কামিন্দু মেন্ডিস (০) ফিরিয়ে দেন দ্রুতই। পরে হাসারাঙ্গা ও থিকশানাকে ফিরিয়ে ৪ উইকেটের পূর্ণতা পান তিনি।
অভিষেক ম্যাচে দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে বোলিং করেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। মাঝপথে চোটজনিত সমস্যায় পড়লেও মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার বিপজ্জনক জুটি ভেঙে দেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতে পাওয়ার প্লে’তে মাত্র ৫০ রানেই হারায় ৩ উইকেট। ১০ ওভারের মধ্যে নিসাঙ্কা, মাদুশকা ও কামিন্দু ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। সেখান থেকে আসালাঙ্কা এবং মেন্ডিসের ৫০ রানের জুটি কিছুটা স্থিতি আনে। পরে লিয়ানাগের সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আসালাঙ্কা।
শেষ দিকে রানের গতি বাড়াতে গিয়ে দ্রুত উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৪৫তম ওভারের পরপরই হাসারাঙ্গা ও থিকশানা ফিরে গেলে ২৪৪ রানের বেশি যেতে পারেনি তারা।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ১০ ওভারে ৪৭ রানে ৪টি, তানজিম সাকিব ৯.২ ওভারে ৪৬ রানে ৩টি, তানভীর ১টি এবং শান্ত ১টি উইকেট শিকার করেন।
প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের এই সংগ্রহ বাংলাদেশি ব্যাটারদের জন্য কেমন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, এখন সেটিই দেখার বিষয়। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামবে মেহেদী মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল।
মন্তব্য করুন