দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মাসখানেক আগে যুব সিরিজ জয়ের পর আত্মবিশ্বাসে উজ্জ্বল ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট দল। সেই ধারাবাহিকতাই বজায় রাখল তারা জিম্বাবুয়েতে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে, যেখানে প্রোটিয়া যুবাদের ৩৩ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬৯ রানের শক্তপোক্ত সংগ্রহ গড়ে জুনিয়র টাইগাররা। ইনিংসের নায়ক ছিলেন রিজান হোসেন—অসাধারণ ব্যাটিংয়ে করেছেন ৯৫ রান, অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছে সেঞ্চুরি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন কালাম সিদ্দিকি, যার ব্যাটে আসে ৬৫ রান।
তবে শুরুর গল্পটা ছিল কিছুটা চাপে ফেলা। দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার (২১) ও রিফাত বেগ (১৬) ভালো সূচনা দিলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। অধিনায়ক তামিমও ফিরেছেন মাত্র ৭ রানে। তখন ২৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে দল। কিন্তু রিজান ও কালামের ১১৭ রানের জুটি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়।
২৭০ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ন্ত শুরু করে। উদ্বোধনী জুটি ৫৯ রানে পৌঁছালেও ৪০ রান করা আদনান লেগেদিনের বিদায়ে গতি থেমে যায়। এরপর জুরিখ ফন শালভিক (১৯) দ্রুত ফিরলে চাপ বেড়ে যায় স্বাগতিকদের ওপর।
মাঝের ওভারে মোহাম্মদ বুলবুলিয়া (৩১) ও জেসন রোয়েলস (৩৫) কিছুটা লড়াই করলেও বাংলাদেশ বোলারদের শৃঙ্খলিত আক্রমণে টিকতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৮ ওভার ৪ বলে অলআউট হয় তারা, সংগ্রহ থামে ২৩৬ রানে।
অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টায় গড়া এই জয় শুধু শিরোপা নয়, অনূর্ধ্ব–১৯ দলের আত্মবিশ্বাসের ভান্ডারও ভরিয়ে দিলো। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জুনিয়র টাইগারদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে আরও বড় সাফল্যের বার্তা বয়ে আনবে।
মন্তব্য করুন