

আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে চতুর্থ বলেই উইকেট নিলেন বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ। তার ফুল লেংথ বলে এলবিডব্লু হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি (০)। সকালের সেশনে প্রথম ওভারেই উইকেট হারাল আয়ারল্যান্ড।
এর আগে, সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস হেরে ফিল্ডিং পেয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে অল্প রানে আটকানোই হবে টাইগার বোলারদের মূল লক্ষ্য। বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ এর আগে বাংলাদেশের হয়ে শুধু টি–টোয়েন্টি খেলেছেন। এবার তার টেস্ট অভিষেক হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ জুনে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা সফরে ওই টেস্টের পর সাদা বলের ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে টাইগাররা। এসময় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো দীর্ঘ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা টাইগাররা। পাশাপাশি ব্যাটারদের ব্যর্থতাও চিন্তায় রাখছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
সাত মাস পর টেস্ট দলে ফিরেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। গত এপ্রিলে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। সাদমান ইসলামের সাথে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করতে পারেন জয়। এ বছর সাদমানের টেস্ট গড় ৪০.৫৭।
বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার সামলাবেন তিন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। আয়ারল্যান্ডের মত কম খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে হলে তাদের বড় ইনিংস খেলতে হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে টেস্টে কোন সেঞ্চুরি নেই মুমিনুলের। অন্যদিকে ২০২২ সাল থেকে টেস্টে সেঞ্চুরি নেই লিটনের। তবে ব্যাট হাতে ছন্দে আছেন মুশফিক। গত জুনে শ্রীলঙ্কা সফরে গল-এ প্রথম টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ৯টি চারে ১৬৩ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ারের ৯৯তম টেস্ট খেলতে নামবেন মুশি।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে স্পিনারদের উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশ। যদিও সিলেটের উইকেট পেসারদের সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ দলে তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজের মত দু’জন কার্যকরী স্পিনার আছে। যারা আয়ারল্যান্ড ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারবেন। টেস্টে দু’জনই ২শর বেশি উইকেট শিকার করেছেন।
তাইজুল ৫৫ ম্যাচে ২৩৭ এবং মিরাজ ৫৪ ম্যাচে ২০৫ উইকেট নিয়েছেন। টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হতে ১০ উইকেট প্রয়োজন তাইজুলের। ৭১ টেস্টে ২৪৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন, মাহমুদুল হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, হাসান মুরাদ, নাহিদ রানা
মন্তব্য করুন