

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) ধারাবাহিকভাবে নিজের কার্যকারিতা দেখাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দুবাই ক্যাপিটালসের জার্সিতে খেলা শেষ দুই ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এই বাঁহাতি পেসার। ফলাফল—দুই ম্যাচে মোট ৪ উইকেট, আর ৪২ বলে ২৪টিই ডট!
গত শনিবার দুবাইয়ে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে হারের ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারগুলোতে ডট বল ছিল ১৩টি। এরপর গতকাল আবুধাবি নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বড় জয়ের ম্যাচেও দারুণ ধারাবাহিক ছিলেন তিনি।
৮৩ রানের বিশাল জয়ে মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট। এ ম্যাচে ১১টি ডট বল করেন বাংলাদেশের পেসার। সব মিলিয়ে দুই ম্যাচে ৪২ বলের মধ্যে ২৪টিই ব্যাটসম্যানদের জন্য রানশূন্য রইল। রান দিয়েছেন মাত্র ৪৮, উইকেট নিয়েছেন ৪টি।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে দুবাই ক্যাপিটালস তোলে ৪ উইকেটে ১৮৬ রান। জবাবে আবুধাবি নাইট রাইডার্স গুটিয়ে যায় ১৫.৩ ওভারে মাত্র ১০৩ রানে। আবুধাবির হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ওপেনার ফিল সল্ট, যাকে মুস্তাফিজের কাটারে ফাঁদে পড়তে হয়। একই সঙ্গে শূন্য রানে উন্মুক্ত চাঁদকেও ফেরান তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৫ রান দিয়ে উন্মুক্ত চাঁদকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ করান মুস্তাফিজ। ষষ্ঠ ওভারে আবার আক্রমণে এসে একটু খরচা বাড়লেও নিখুঁত কাটারে সল্টকে কাবু করে কাভারে ক্যাচ বানান। শেষ স্পেলে, ১৫তম ওভারে দেন মাত্র ৭ রান।
এই জয় ছিল আসরে দুবাই ক্যাপিটালসের প্রথম সাফল্য। ব্যাট হাতে দলের হয়ে ম্যাচের নায়ক ছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। ৫২ বলে ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা। এছাড়া জর্ডান কক্স করেন ৩৬ বলে ৫২ রান।
দুবাই ক্যাপিটালসের পরবর্তী ম্যাচ ১৩ ডিসেম্বর, প্রতিপক্ষ আবারও আবুধাবি নাইট রাইডার্স। বর্তমান ছন্দ ধরে রাখতে পারলে সে ম্যাচেও মুস্তাফিজের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল।
মন্তব্য করুন