২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রা এখন পর্যন্ত সুখকর নয়। আফগানিস্তানকে উড়িয়ে শুরু করলেও ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও ভারতের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে টাইগার বাহিনী। তবে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশ শিবিরে। এই বিশ্বকাপে মারকাম-ক্লাসেন ঝড়ে উড়ে গেছে বেশির ভাগ দল। তাই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য দলীয় পারফরম্যান্স প্রয়োজন বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।
আজকের ম্যাচটি দুই দলের মধ্যে ২৫তম সাক্ষাৎ। আগের ২৪ ম্যাচের পরিসংখ্যান এগিয়ে রাখছে বাভুমার দলকে। এখন পর্যন্ত দুই দলের মুখোমুখি দেখায় প্রোটিয়ারা জয় পেয়েছে ১৮ ম্যাচে। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ছয় ম্যাচে। যদিও বিশ্বকাপে দুই দলের জয়ের সংখ্যা সমানে সমান। ২০০৭ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ২০০৩ সালে ও ২০১১ সালে জয়ের হাসি হেসেছিল প্রোটিয়ারা।
যদিও সবশেষ ৪ ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দুই দলের মুখোমুখি দ্বৈরথে ব্যাটে বলে অনেকটাই এগিয়ে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের সর্বোচ্চ রান ৩৬৯। বিপরীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩০। সর্বনিম্ন স্কোর দক্ষিণ আফ্রিকার ১৫৪। আর বাংলাদেশের ৭৮।
ব্যাট হাতে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান গ্রায়েম স্মিথের। সাবেক এই অধিনায়ক টাইগারদের প্রতিপক্ষ হয়ে করেছেন ৫৭২ রান। আর বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিয়েছেন ৪৯২ রান।
সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারেও এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। কাগিসো রাবাদা বাংলাদেশের বিপক্ষে নিয়েছেন ১৯টি। এই তালিকায় আছেন সাকিবও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তার উইকেট ১৬টি।
বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সমান সমান থাকলেও ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পুরোই ব্যাকফুটে। আর প্রোটিয়ারা দারুণ সব চমক জাগানিয়া খেলা খেলে সেমিফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও সমর্থকরা আশায় থাকবে যে আফ্রিকানদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াবে সাকিবের দল।
মন্তব্য করুন