বিপিএলে আজকে কুমিল্লার সঙ্গে ম্যাচের আগেই সিলেটের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে বাদ পড়ায় এই ম্যাচ থেকে পাওয়ার কিছু ছিল না সিলেটের। তবে এমন চাপহীন থাকা ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিল সিলেটের ব্যাটাররা। বিশেষ করে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বড় টার্গেটই দিল মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের সাগরিকায় বিপিএলের ৩৭তম ম্যাচে মাঠে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সিলেট। সিলেটের পক্ষে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৬২ রান করেন। কুমিল্লার পক্ষে সুনীল নারিন ও রিশাদ নেন দুটি করে উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জাকির ও আজকেই প্রথম খেলতে নামা কেনার লুইস সিলেটেকে ভালো শুরু এনে দেন। দলীয় ৪০ রানের মাথায় সুনীল নারিনের ডেলিভারিতে জাকির ফিরেন ১৮ রান করে। তবে তখনও লুইসের ব্যাট চলছিল। টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচ হিসেবে ভালো খেলছিলেন, তবে মুশফিক হাসানের শিকার হয়ে ৩৩ (২৫) রানেই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে তাকে।
টাইগারদের নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজও হন ব্যর্থ। রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিনের শিকার হয়ে তিনি ফেরার পর একই ওভারে ফিরেন ইয়াসির আলিও। এই দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে সিলেট।
তবে এরপর অধিনায়ক মিঠুনের সঙ্গে বেনি হাওয়েল মিলে সিলেটের পক্ষে হাল ধরেন। দুজনের ৪২ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে কক্ষপথে ফেরে দলটি। জুটি গড়ে তোলার কালে ১৭তম ওভারে রিশাদ হাসানের ৩ ডেলিভারিতে মিঠুন দুটি এবং হাওয়েল একটি ছক্কা হাঁকান। পরের ওভারে অবশ্য নারিনের শিকার হয়ে ফিরতে হয় মিঠুনকে।
হাওয়েল শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। ৩১ বলে ৬২ রান করেছেন, যেখানে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার মার ছিল। সঙ্গে আরিফুল হক ৫ বলে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে সুনীল নারিন ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মুশফিক হাসান একটি উইকেট পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন