অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার ক্যারিয়ারের সেরা বছর কোনটি? নিঃসন্দেহে উত্তর আসবে ২০২৩ সাল। গত বছরটিতে তার অধিনায়কত্বে সেরা সময়ই কাটিয়েছে অজি ক্রিকেট দল।
তার দুর্দান্ত নেতৃত্বে ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপের ট্রফি জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাই বিশ্বের সবচেয়ে ক্রিকেট সাময়িকী উইজডেনের লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে জায়গা পেয়েছেন অজি এই পেসার।
উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালামনাকের নতুন (১৬১তম) সংস্করণে লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে প্যাট কামিন্স (পুরুষ) ও ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার-ব্রান্টের (নারী) নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত এই ম্যাগাজিন।
কামিন্সের আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন সাবেক অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তাই প্রায় এক যুগ পর অন্য কোনো অজি ক্রিকেটার পেলেন উইজডেন লিডিং ক্রিকেটারের খেতাব।
গত বছরে শুধু অধিনায়ক হিসেবে নয় বল হাতেও আলো ছড়িয়েছেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পাশাপাশি অ্যাশেজের শিরোপা ধরে রাখতেও নেতৃত্বের দারুণ ছাপও রাখেন তিনি।
কামিন্সকে নিয়ে উইজডেন সম্পাদক লরেন্স বুথ বলেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সফলতার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর, প্যাট কামিন্স অ্যাশেজ ধরে রাখেন। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে লেট অর্ডারে রানের জন্য বড় ধন্যবাদ প্রাপ্য তার।
‘এরপর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথে নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০২৩ সালে বিশ্ব ক্রিকেটের কোনো পেসারই টেস্টে তার ৪২ উইকেটের চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেননি।’
কামিন্স ছাড়াও উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের তালিকাতেও অজিদের আধিপত্য। অ্যাশেজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (৪৯৬) উসমান খাজা, বিশ্বকাপে ১৬ উইকেট নেওয়া মিচেল স্টার্ক ও নারী দলের অলরাউন্ডার অ্যাশলি গার্ডনার আছেন এই তালিকায়। এ ছাড়াও আছেন ইংল্যান্ডের মার্ক উড ও হ্যারি ব্রুক।
এ ছাড়াওে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১৭৪ বলে ১৬৩ রান করে সেরা টেস্ট পারফরম্যান্সের পুরস্কার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। এর আগে গত বছর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন জনি বেয়ারস্টো।
লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথিউসের নাম ঘোষণা করেছে উইজডেন। গত বছর টানা ৮ ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। এ ছাড়া ব্যাটিং করেছেন ৮৮ গড় ও ১৪৪ স্ট্রাইকরেটে। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১২ উইকেট।
মন্তব্য করুন